বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম:
তোমারি তরে, মা, সঁপিনু এ দেহ।
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ:
জাতীয় সংগীত
৮ ।
তোমারি
তরে, মা, সঁপিনু এ দেহ। তোমারি তরে, মা, সঁপিনু প্রাণ॥
তোমারি
শোকে এ আঁখি বরষিবে, এ বীণা তোমারি গাহিবে গান
॥
যদিও এ
বাহু অক্ষম দুর্বল
তোমারি কার্ষ সাধিবে।
যদিও এ অসি কলঙ্কে মলিন
তোমারি পাশ নাশিবে॥
যদিও,
হে দেবী, শোণিতে আমার কিছুই তোমার হবে না
তবু,
ওগো মাতা পারি তা ঢালিতে একতিল তব কলঙ্ক ক্ষালিতে-
নিভাতে তোমার যাতনা।
যদিও,
জননী, যদিও আমার এ বীণায় কিছু নাহিক বল
কী জানি
যদি, মা, একটি সন্তান, জাগি উঠে শুনি এ বীণাতান॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় নি।
-
পাঠভেদ: গানটির পাঠভেদ আছে।
তোমারি
তরে মা সঁপিনু এ দেহ।
: শতগান (১৩০৭)
তোমারি
তরে মা সঁপিনু দেহ।
: রবিচ্ছায়া (১২৯২)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
-
তথ্যানুসন্ধান
- ক.
রচনাকাল ও স্থান:
এই গানটি ভারতী পত্রিকার আশ্বিন ১২৮৪ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এই বিচারে প্রাথমিকভাবে
ধারণ করা যায় গানটি- আশ্বিন ১২৮৪ এর আগে গানটি রচিত। প্রশান্তকুমার পাল তাঁর
রবিজীবনী প্রথম খণ্ডে গানটি 'সঞ্জীবনী সভা'র অনুপ্রেরণায় লিখা বলে অনুমান
করেছেন। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর 'গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী' গ্রন্থে একই
অনুমান করেছেন। প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী প্রথম খণ্ডে (ভূর্জপত্র, ১৩৮৯, ১
বৈশাখ। পৃষ্ঠা ৩০৫) 'সঞ্জীবনী সভা' আয়ুষ্কাল সম্পর্কে লিখেছেন '...অনুমান করা যায়
সঞ্জীবনী সভার আয়ুষ্কাল মোটামুটি ছ'মাস -পৌষ ১২৮৩ থেকে জ্যৈষ্ঠ ১২৮৪ পর্যন্ত
বিস্তৃত।'
প্রকৃতপক্ষে গানটির রচনাকাল সম্পর্কে স্পষ্ট কিছুই জানা যায় না। তাই প্রকাশকালের
বিচারে একে রবীন্দ্রনাথের চতুর্থ গান হিসাবে বিবেচনা করা হলো।
প্রকাশকালের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল- ১৬ বৎসর ৫ মাস।
- খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
পত্রিকা:
-
ভারতী
(আশ্বিন ১২৮৪
বঙ্গাব্দ, প্রথম বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা।)।
শিরোনাম : উৎসর্গ-গীতি।
রাগ- মল্লার। পৃষ্ঠা : ১৪৪। [নমুনা]
-
গ. সঙ্গীত
বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
-
সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান ৪৭ খণ্ডে গানটির রাগ-তালের উল্লেখ নেই। স্বরলিপিটি ৩।৩।৩।৩।
মাত্রিক ছন্দে একতালে নিবদ্ধ।
-
রাগ দেশ তাল একতাল
-
রাগ: জয়জয়ন্তী। তাল একতাল, ঢালা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১।
-
বিষয়াঙ্গ: জাতীয় সঙ্গীত
-
সুরাঙ্গ: স্বকীয়
-
গ্রহস্বর: রা
-
লয়: মধ্য।