বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি, আছে
অন্তরে।পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি, আছে অন্তরে।
পরানে বসন্ত এল কার মন্তরে॥
মুঞ্জরিল শুষ্ক শাখী, কুহরিল মৌন পাখি,
বহিল আনন্দধারা মরুপ্রান্তরে॥
দুখেরে করি না ডর, বিরহে বেঁধেছি ঘর,
মনোকুঞ্জে মধুকর তবু গুঞ্জরে।
হৃদয়ে সুখের বাসা, মরমে অমর আশা,
চিরবন্দী ভালোবাসা
প্রাণপিঞ্জরে॥
-
পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি নাই
।
-
পাঠভেদ:
পাঠভেদ আছে।
মুঞ্জরিল শুষ্ক শাখী
: স্বরলিপি-গীতিমালা (১৩০৪)
মঞ্জরিল শুষ্ক শাখী
: গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
মনকুঞ্জে মধুকর
: স্বরলিপি-গীতিমালা (১৩০৪)
মনঃকুঞ্জে মধুকর
: গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
মনোকুঞ্জে মধুকর
:
দশম
(১০) খণ্ডের (পৌষ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)
-
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩০২ বঙ্গাব্দের ১৪
আশ্বিন [সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দ] শিলাইদহে গানটি রচনা করেন। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৩৪ বৎসর ৫ মাস।
-
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ, দশম খণ্ড, (ইন্ডিয়ান প্রেস ১৩২৩ বঙ্গাব্দ), বিবিধ সঙ্গীত।
পৃষ্ঠা: ১১৪। [১১৪]
-
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১৩০৩ বঙ্গাব্দ]। 'চিত্রা'
অংশে মুদ্রিত। শিরোনাম: মানব বসন্ত। পৃষ্টা: ৩৭৪-৩৭৫[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
গান
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮] গ্রন্থসূচিতে গানটি
(চিত্রা ১৩০২ বঙ্গাব্দ)থেকে গৃহীত হয়েছিল, এমনটা উল্লেখ আছে। মূলত- চিত্রার
প্রথম সংস্করণে এই গানটি ছিল না। ১৩০৩ বঙ্গাব্দে কাব্যগ্রন্থাবলীতে অন্তর্ভুক্ত
চিত্রাতে এই গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ৯৬]
[নমুনা]
- অখণ্ড গীতবিতান-এর
প্রেম (প্রেম
বৈচিত্র্য-১১৪)
পর্যায়ের ১৪১ সংখ্যক গান
।
-
স্বরলিপি-গীতিমালা (১৩০৪)। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ
মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান
দশমম
(১০) খণ্ডের (পৌষ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ১১ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা
৩৯-৪০
-
গ.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-
সুর ও তাল:
-
রাগ: ললিত-কালাংড়া। তাল: আড়খেমটা। [
স্বরবিতান
দশম
(১০) খণ্ডের (পৌষ ১৪১৩ বঙ্গাব্দ)
]
-
রাগ : রামকেলী।
এই গানের রাগ ললিত কালংড়া বলা হয়েছে কিন্তু গানে ললিতাঙ্গ পাওয়া যায় না। কালাংড়ার
গান্ধারে ন্যাস নেই। উপরন্তু রামকেলীর মতো পঞ্চমের উপরে ন্যাস করা হয়েছে। প্রচলিত
রামকেলীর তীব্র মধ্যমও এই গানে নেই, সেজন্য একপ্রকার রামকেলী বলা হয়েছে।
হিন্দুস্থানী সংগীতে তীব্র মধ্যম ও কোমল নিষাদ বিরহিত রামকেলীর একটি প্রকার আছে। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে
রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান।
সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭৫]
-
রাগ:
ললিত-কালাংড়া। তাল:
দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস,
ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৫]
-
রাগ:
কালেংড়। তাল:
আড়খেমটা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১১২ ]
-
গ্রহস্বর: মা
লয়: মধ্য।