বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
ভালোবেসে যদি সুখ নাহি
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ:
ভালোবেসে, সখী, নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখো-তোমার
মনের মন্দিরে।
আমার পরানে যে গান বাজিছে
তাহারি তালটি
শিখো-তোমার
চরণমঞ্জীরে॥
ধরিয়া রাখিয়ো সোহাগে আদরে
আমার মুখর পাখি-তোমার
প্রাসাদপ্রাঙ্গণে।
মনে ক'রে সখী, বাঁধিয়া রাখিয়ো
আমার হাতের রাখী-তোমার
কনককঙ্কণে॥
আমার লতার একটি মুকুল
ভুলিয়া তুলিয়া রেখো-তোমার
অলকবন্ধনে।
আমার স্মরণ শুভ-সিন্দুরে
একটি বিন্দু
এঁকো-তোমার
ললাটচন্দনে।
আমার মনের মোহের মাধুরী
মাখিয়া রাখিয়া
দিয়ো-তোমার অঙ্গসৌরভে।
আমার আকুল জীবনমরণ
টুটিয়া লুটিয়া
নিয়ো-তোমার
অতুল গৌরবে॥
-
পাণ্ডুলিপির
পাঠ: পাওয়া যায়নি।
-
পাঠভেদ:
পাঠভেদ
আছে।
তাহার তালটি শিখো
: স্বরলিপি, স্বরবিতান-৫৬
তাহারি তালটি শিখো
: গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: ১৩০৪ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসের শুরুতে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে যান। তারপর পাবনার
ইছামতী, যমুনা বরাল, বলেশ্বরী নদী ধরে সাজাদপুরের উদ্দেশ্যে পৌঁছান ৮ তারিখে। এই
সময় পথিমধ্যে বোটে 'যাচনা' শিরোনামে একটি কবিতা রচনা করেন। পরে এই কবিতা কল্পনা কাব্যে এই গৃহীত হয়েছে। সম্ভবত
এই কবিতাটি কাব্যগ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগেই সুরারোপ করেছিলেন। কারণ, 'কল্পনা'য়
অন্তর্ভুক্ত কবিতার শিরোনামের পরেই লেখা আছে কীর্তনের সুর। কল্পনা কাব্যে গৃহীত
কবিতার সাথে তারিখ উল্লেখ আছে 'সাহাজাদপুর। বোট। ৮ আশ্বিন ১৩০৪।' এই কবিতাটিকে কবে
তিনি গানে পরিণত করেছিলেন তা জানা যায় না। গানে পরিণত করার সময় তিনি কতকগুলো শব্দকে
একই ধাঁচে পরিবর্তন করেছিলেন। যেমন-
কল্পনা কাব্যে গৃহীত কবিতায় 'লিখিয়ো', 'শিখিয়ো', 'রাখিয়ো',
'আঁকিয়ো', 'দিয়ো গো' শব্দগুলো গানে হয়েছে- 'লিখো', 'শিখো', 'রেখো', 'এঁকো', 'দিয়ো'।
কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছিলেন ৩৬ বৎসর ৫ মাস বয়সে।
কবিতাটিতে কবে সুরারোপ করেছিলেন, তা জানা যায় না।
- খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- .
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- ভাঙা গান:
এটি একটি কীর্তনভাঙা গান। মূল গানটি রচনা তা জানা যায় না।
- স্বরলিপিকার:
অনাদিকুমার
দস্তিদার। [পাণ্ডুলিপি থেকে সংগৃহীত]
- সুর
ও তাল:
-
স্বরবিতান ষট্পঞ্চাশত্তম
খণ্ডে
(চৈত্র ১৩১৪ বঙ্গাব্দ)
গৃহীত স্বরলিপিতে গানটির
রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ত্রিমাত্রিক ছন্দে নিবদ্ধ। এই ছন্দটি
প্রথাগত কোনো তালের আদলে লেখা নেই।
-
রাগ : মিশ্র দেবগিরি। প দ পদণ দ প এই
রাগ-বহির্ভূত টুকরোটি প্রযুক্ত হয়েছে। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে
রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান ।সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭৭]
- অঙ্গ:
কীর্তন। তাল: একতাল
[রবীন্দ্রসংগীত
: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)।
পৃষ্ঠা: ৭১
-
অঙ্গ: কীর্তন।
তাল: ঢালা,
৩/৩/৩/৩ ছন্দ
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১২৩]
-
গ্রহস্বর : সা।
-
লয় : মধ্য।
-
স্বরবিতান ষট্পঞ্চাশত্তম খণ্ডের (চৈত্র ১৩১৪ বঙ্গাব্দ) ৭১
পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে '... গানের গীতিরীতি সম্পর্কে বিশেষ অবহিত হওয়া আবশ্যক'। কিন্তু
রীতিটি কীরূপ হবে তার উল্লেখ নেই।