পাঠ ও পাঠভেদ:
      
		
		     অজানা খনির নূতন মণির  গেঁথেছি হার,
            ক্লান্তিবিহীনা 
      নবীনা বীণায়   বেঁধেছি তার॥
      যেমন নূতন বনের 
      দুকূল,    যেমন নূতন আমের মুকুল,
           মাঘের অরুণে খোলে স্বর্গের নূতন 
      দ্বার,
      তেমনি আমার নবীন রাগের   নব যৌবনে নব সোহাগের
           রাগিণী রচিয়া উঠিল নাচিয়া বীণার 
      তার॥
     যে বাণী আমার কখনো কারেও হয় নি বলা
           তাই দিয়ে গানে রচিব নূতন 
      নৃত্যকলা।
      আজি
      অকারণ বাতাসে বাতাসে যুগান্তরের সুর ভেসে আসে,
          মর্মরস্বরে বনের ঘুচিল মনের ভার।
      যেমনি ভাঙিল বাণীর বন্ধ উচ্ছ্বসি উঠে নূতন ছন্দ,
          সুরের সাহসে আপনি চকিত বীণার 
      তার॥   
পাঠভেদ:
ভাবগত ঐক্য এবং সুরের বৈশিষ্ট্য বিচার 
করে, শান্তিদেব ঘোষ ওই একই গ্রন্থে লিখেছেন- '....ভাবগত ঐক্য দেখি 
'মহুয়া'র 
'অজানা খনির নূতন মণির গেঁথেছি হার' গানটির সঙ্গে 'কাহার গলায় পরাবি গানের রতনহার' 
গানটির। 'মহুয়া'র 
কবিতাটি যে রাগিণীতে গঠিত,  'কাহার 
গলায় পরাবি'তে সে রাগিণী বসে নি, এখানে আছে ভৈরবী, 
'অজানা খনির নূতন মণির গেঁথেছি 
হার' গানটিতেও সুরযোজনায় বিদেশী আদর্শের ছাপ লক্ষ করি।'
 
শান্তিদেব ঘোষ তাঁর 'রবীন্দ্রসঙ্গীত' গ্রন্থে এই গানটির রাগ হিসাবে -'বসন্ত-ভৈরবী' উল্লেখ করেছেন।
রাগ : মিশ্র কালাংড়া। রাগ-বহির্ভূত সুর হিসেবে কোমল নিষাদ প্রযুক্ত হয়েছে। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি. ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান । সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা : ৭৭]
রাগ: পরজ-সোহিনী। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৩। পৃষ্ঠা: ২৩]
রাগ: ভৈরব, ভৈরবী। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৪৬।]
গ্রহস্বর: না।
লয়: ঈষৎ দ্রুত।