বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
আমার মন মানে না-দিনরজনী।
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ: পূজা: ৫৮
আমার মন মানে
না-দিনরজনী।
আমি কী কথা স্মরিয়া এ
তনু ভরিয়া পুলক রাখিতে নারি।
ওগো, কী ভাবিয়া মনে এ
দুটি নয়নে উথলে নয়নবারি-
ওগো সজনি॥
সে সুধাবচন, সে
সুখপরশ, অঙ্গে বাজিছে বাঁশি।
তাই শুনিয়া শুনিয়া
আপনার মনে হৃদয় হয় উদাসী-
কেন না জানি॥
ওগো, বাতাসে কী কথা
ভেসে চলে আসে, আকাশে কী মুখ জাগে।
ওগো, বনমর্মরে
নদীনির্ঝরে কী মধুর সুর লাগে।
ফুলের গন্ধ বন্ধুর মতো
জড়ায়ে ধরিছে গলে-
আমি এ কথা, এ ব্যথা,
সুখব্যাকুলতা কাহার চরণতলে
দিব নিছনি॥
- পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
MS.290
MS. NO 426 (i)
[নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: শারদীয়া দেশ ১৩৭৮ এর উদ্ধৃতি দিয়ে
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী গ্রন্থে একটি
গানের রচনাকাল উল্লেখ করেছেন- '১২৯৯ কার্তিক ১৫ হইতে অগ্রহায়ণ ১৫ তারিখের মধ্যে
কোনো-এক সময়ে রচিত। এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৩১ বৎসর ৬-৭ মাস বয়সের রচনা।
-
খ. প্রকাশ ও
গ্রন্থভুক্তি
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
অষ্টম খণ্ড [মজুমদার লাইব্রেরি, ১৩১০
বঙ্গাব্দ]। বিবিধ। মিশ্র মুলতান। পৃষ্ঠা: ২৬-২৭ [নমুনা:
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
দশম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস ১৩২৩ বঙ্গাব্দ], বিবিধ সঙ্গীত। পৃষ্ঠা: ১১৩-১১৪। [নমুনা]
-
কাব্যগ্রন্থাবলী
[আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। গান।
মিশ্র-মুলতান।
পৃষ্ঠা: ৪২৯]
[নমুনা]
-
গান
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮। কাব্যগ্রন্থাবলী (১৩০৩ বঙ্গাব্দ)
'গান' অংশ থেকে গৃহীত হয়েছে । পৃষ্ঠা: ১০০]
[নমুনা]
-
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম
সংস্করণ (বিশ্বভারতী,
১৩৪৮
বঙ্গাব্দ)।
-
অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ) প্রেম (প্রেম বৈচিত্র্য-৩১)পর্যায়ের ৫৮ সংখ্যক গান।
-
বীণাবাদিনী(মাঘ ১৩০৪ বঙ্গাব্দ)। মিশ্র মুলতান। স্বরলিপিকারের নাম অনুল্লিখিত।
-
স্বরবিতান
দশম
(১০) খণ্ডের (পৌষ ১৪১৩)
২২ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা
৭১-৭২।
[নমুনা]
- গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার: জ্যোতিরিন্দ্রনাথ
ঠাকুর।
- সুর ও তাল:
-
রাগ : মিশ্র মূলতান। তাল : একতাল।
[স্বরবিতান
দশম
(১০) খণ্ডে (পৌষ ১৪১৩)]
-
রাগ : পিলু।
স্বরবিতান দশম খণ্ডে মুদ্রিত রাগনাম মিশ্র মুলতান দেওয়া আছে কিন্তু সুরে ব্যবহৃত
তীব্র মধ্যম কোমল ধৈবত শুদ্ধ ধৈবত ইত্যাদি স্বরগুলি পিলু রাগে প্রযুক্ত করা যায়।
এবং সুরের সম্পূর্ণ রূপটি পিলুর মতো। [রবীন্দ্রসঙ্গীতে রাগ-নির্ণয়। ভি.ভি.
ওয়াঝলওয়ার। রবীন্দ্রনাথের প্রেমের গান। সংগীত-শিক্ষায়তন। বৈশাখ ১৩৯০। পৃষ্ঠা
: ৭২]
-
রাগ: পিলু, ভীমপলশ্রী। অঙ্গ কীর্তন। তাল: একতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬। পৃষ্ঠা: ৩০]
-
রাগ: সিন্ধু, মুলতান। তাল: একতাল।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৫৭।]
-
গ্রহস্বর : পা।