বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আজি বসন্ত
জাগ্রত দ্বার
পাঠ ও পাঠভেদ:
গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বসন্ত-৩) পর্যায়ের ১৯০ সংখ্যক গান।
আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।
তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে
কোরো না বিড়ম্বিত তারে॥
আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো,
আজি ভুলিয়ো আপন পর ভুলিয়ো,
এই সঙ্গীতমুখরিত গগনে
তব গন্ধ তরঙ্গিয়া তুলিয়ো।
এই বাহির-ভুবনে দিশা হারায়ে
দিয়ো ছড়ায়ে মাধুরী ভারে ভারে॥
একি নিবিড় বেদনা বনমাঝে
আজি পল্লবে পল্লবে বাজে―
দূরে গগনে কাহার পথ চাহিয়া
আজি ব্যাকুল বসুন্ধরা সাজে।
মোর পরানে দখিনবায়ু লাগিছে,
কারে দ্বারে দ্বারে কর হানি মাগিছে―
এই সৌরভবিহ্বল রজনী
কার চরণে ধরণীতলে জাগিছে।
ওহে সুন্দর, বল্লভ, কান্ত,
তব গম্ভীর আহ্বান কারে॥
অতি নিবিড়
বেদনা বনমাঝে রে
আজি পল্লবে
পল্লবে বাজে রে...
আজি ব্যাকুল
বসুন্ধরা সাজে রে
:
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
ওহে
সুন্দর, বল্লভ, কান্ত
: স্বরলিপি, গীতলেখা ২ (১৩২৫)
তব
সুন্দর, বল্লভ, কান্ত
: কথার অংশ, গীতলেখা ২ (১৩২৫)
গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩১৬ বঙ্গাব্দের মাঘ থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত শান্তিনিকেতন, কলকাতা এবং
শিলাইদহে যাতায়াতের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেন।
১৩১৬ বঙ্গাব্দের ১৪ মাঘ [বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দ], রথীন্দ্রনাথ
ঠাকুরের সাথে প্রতিমা দেবীর বিবাহ হয় কলকাতায়। ২৬ মাঘ পুত্র ও পুত্রবধূকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ
শান্তিনিকেতন যান। শান্তিনিকেতন থেকে ২০ ফাল্গুনে রবীন্দ্রনাথ কোলকাতা আসেন।
এরপর
২৪শে
ফাল্গুন তিনি রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সাথে নিয়ে শিলাইদহ যান এবং ৫ চৈত্রে আবার
কোলকাতায় ফিরে আসেন এবং ১১ চৈত্র তারিখে তিনি শান্তিনিকেতনে ফিরে আসেন।
এরপর চৈত্রমাসের শেষের দিকে এই গানটি-সহ তিনি ৫টি গান রচনা করেন। এর ভিতরে
২৬ শে চৈত্র তিনি এই গানটি রচনা করেছিলেন। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৮ বৎসর ১১ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৮ বৎসর ১১ মাস বয়সে রচিত গানের তালিকা]
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ। রাজা। ঠাকুরদার গান।। পৃষ্ঠা ১৩২-১৩৩] [নমুনা]
গান
ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস (১৩২১)
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর [গীতলিপি দ্বিতীয় ভাগ (১৩২৫ বঙ্গাব্দ)]
ভীমরাও শাস্ত্রী [সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি (১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ)]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ -এর সুরভেদ ও ছন্দভেদ অংশে দেখানো হয়েছে যে গীতলেখা ২ ( ১৩২৫ বঙ্গাব্দ)-এ এই গানটির দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপির একটি সুরভেদ রয়েছে। স্বরবিতান অষ্টাত্রিংশ -এ (বৈশাখ ১৪১৫ বঙ্গাব্দ) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তাল হিসেবে উল্লেখ রয়েছে যথাক্রমে মিশ্র বাহার ও ত্রিতাল।
রাগ: বাহার। তাল: ত্রিতাল [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা । সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ২৬]।
গ্রহস্বর-ণা।
লয়-মধ্য।