বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম:
ওই আসে ওই অতি
ভৈরব হরষে
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী,
কার্তিক ১৪১২)-এর
পাঠ: প্রকৃতি (বর্ষা-২) পর্যায়ের
২৭ সংখ্যক গান।
ওই আসে ওই অতি
ভৈরব হরষে
জলসিঞ্চিত
ক্ষিতিসৌরভরভসে
ঘনগৌরবে নবযৌবনা
বরষা
শ্যামগম্ভীর
সরসা।
গুরু গর্জনে নীল
অরণ্য শিহরে,
উতলা কলাপী
কেকাকলরবে বিহরে—
নিখিলচিত্তহরষা
ঘনগৌরবে আসিছে
মত্ত বরষা॥
কোথা তোরা অয়ি
তরুণী পথিকললনা,
জনপদবধু
তড়িতচকিতনয়না,
মালতীমালিনী
কোথা প্রিয়পরিচারিকা,
কোথা তোরা
অভিসারিকা।
ঘনবনতলে এসো
ঘননীলবসনা,
ললিত নৃত্যে
বাজুক স্বর্ণরসনা,
আনো বীণা
মনোহারিকা।
কোথা বিরহিণী,
কোথা তোরা অভিসারিকা॥
আনো মৃদঙ্গ মুরজ
মুরলী মধুরা,
বাজাও শঙ্খ,
হুলুরব করো বধূরা—
এসেছে বরষা, ওগো
নব-অনুরাগিণী,
ওগো
প্রিয়সুখভাগিনী।
কুঞ্জকুটিরে অয়ি
ভাবাকুললোচনা,
ভূর্জপাতায়
নবগীত করো রচনা
মেঘমল্লাররাগিণী।
এসেছে বরষা, ওগো
নব-অনুরাগিণী॥
কেতকীকেশরে
কেশপাশ করো সুরভি,
ক্ষীণ কটিতটে
গাঁথি লয়ে পরো করবী॥
কদম্বরেণু বিছাইয়া দাও
শয়নে,
অঞ্জন আঁকো নয়নে।
তালে তালে দুটি
কঙ্কণ কনকনিয়া
ভবনশিখীরে
নাচাও গণিয়া গণিয়া
স্মিতবিকশিত
বয়নে—
কদম্বরেণু
বিছাইয়া ফুলশয়নে॥
এসেছে বরষা,
এসেছে নবীনা বরষা,
গগন ভরিয়া এসেছে
ভুবনভরসা॥
দুলিছে পবনে
সনসন বনবীথিকা,
গীতময় তরুলতিকা।
শতেক যুগের
কবিদলে মিলি আকাশে
ধ্বনিয়া তুলিছে
মত্তমদির বাতাসে
শতেক যুগের
গীতিকা।
শতশতগীতমুখরিত
বনবীথিকা॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
-
পাঠভেদ:
-
ভাবসন্ধান: যুক্ত হবে।
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩০৪
বঙ্গাব্দের ১৭ বৈশাখে জোড়াসাঁকোতে রবীন্দ্রনাথ বর্ষামঙ্গল নামে
একটি কবিতা রচনা করেন। ১৩৩২ খ্রিষ্টাব্দে শেষবর্ষণ অভিনয়ের সময় এই কবিতাটিতে
রবীন্দ্রনাথ সুরারোপ করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর ৩৫ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সের শেষের দিকে গানটি রচনা
করেছিলেন।
উল্লেখ্য, রচনাটি
কবিতা আকারে প্রথম প্রকাশ পায় 'বর্ষামঙ্গল' শিরোনামে কল্পনা নামক
কাব্যগ্রন্থে বৈশাখ ১৩০৭ বঙ্গাব্দে। কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথ ১৩২৩ বঙ্গাব্দে
'শেষবর্ষণ' গীতাভিনয়ের সময় সুর দেন। পরবর্তীতে কার্তিক ১৩৩২ বঙ্গাব্দে
রচনাটি গানরূপে সবুজপত্রে প্রকাশিত হয়।
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ
-
পত্রিকা:
-
ভারতী [আষাঢ় ১৩০৫] বর্ষামঙ্গল।
পৃষ্ঠা: ২০৭
[নমুনা]
-
সবুজপত্র
(কার্তিক ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
-
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান
একত্রিংশ
(৩১, গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডে (পৌষ ১৪১২ বঙ্গাব্দ) গৃহীত মূল স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। গানটির মূল স্বরলিপি দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
রাগ:
মল্লার-পিলু-ইমনকল্যাণ-পিলু খাম্বাজ-হাম্বীর তাল: ত্রিতাল দাদরা
[রবীন্দ্রসংগীত
: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)।
পৃষ্ঠা: ৩৪।]
- অঙ্গ:
সাহানা, পিলু-ইমন কল্যাণ
তাল: দাদরা, কাহারবা
।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত।
প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই
২০০১। পৃষ্ঠা: ৭৪]
গ্রহস্বর:
সা।
লয়: মধ্য।