বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
ভেবেছিলেম আসবে
ফিরে
পাঠ
ও পাঠভেদ:
ভেবেছিলেম আসবে ফিরে,
তাই ফাল্গুনশেষে দিলেম বিদায়।
তুমি গেলে ভাসি নয়ননীরে
এখন শ্রাবণদিনে মরি দ্বিধায়॥
এখন বাদল-সাঁঝের অন্ধকারে আপনি কাঁদাই আপনারে,
একা ঝরো ঝরো বারিধারে ভাবি কী ডাকে ফিরাব তোমায়॥
যখন থাক আঁখির কাছে
তখন দেখি ভিতর বাহির সব ভরে আছে।
সেই ভরা দিনের ভরসাতে চাই বিরহের ভয় ঘোচাতে,
তবু তোমা-হারা বিজন রাতে
কেবল হারাই-হারাই বাজে হিয়ায়॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: RBVBMS 162 [নমুনা]
পাঠভেদ: স্বরবিতান একত্রিংশ খণ্ডের পাঠভেদ অংশে এই গানটির একটি পাঠভেদ রয়েছে-
ভেবেছিলেম আসবে ফিরে
তাই ফাগুন শেষে দিলেম বিদায় : কথার অংশ, গীত-মালিকা ২ (পৌষ ১৩৩৬)
গীতবিতান ৩ (শ্রাবণ ১৩৩৯)
তাই সাহস করে নিলেম বিদায় : স্বরলিপি, গীত-মালিকা ২ (পৌষ ১৩৩৬)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটি রচনার কোনো সুনির্দিষ্ট সময় পাওয়া যায় না।
১৯২৩
খ্রিষ্টাব্দের ২৬ এপ্রিল (বৈশাখ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ) রবীন্দ্রনাথ শিলঙ যাত্রা করেন। দুই মাস শিলঙে কাটিয়ে
তিনি জুন মাসের মাঝামঝি সময়ে কলকাতায় ফিরে আসেন। জুলাই মাসের শুরুতে তিনি
শান্তিনিকেতন আসেন। শান্তিনিকেতন থেকে তিনি কলকাতায় আসেন আগষ্ট মাসের শেষের
দিকে। শান্তিনিকেতনে থাকাকালে তিনি এই গানটি-সহ মোট ১০টি গান রচনা করেন। এর
ভিতরে তিনটি গানের তারিখ পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় অবশিষ্ট গান রচনা
করেছিলেন ২৪ আষাঢ় থেকে ১৩৩০ বঙ্গাব্দের ২৬ শে আষাঢ়ের ভিতরে শান্তিনিকেতনে
রচিত হয়েছিল।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৬২ বৎসর
৩ মাস ।
[রবীন্দ্রনাথের ৬২ বৎসর বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
গীতবিতান- এর প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বর্ষা-২৪) পর্যায়ের ৪৯ সংখ্যক গান।
গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড (পৌষ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ)। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
প্রবাহিনী (বিশ্বভারতী ১৩৩২)। ঋতুচক্র ৪৪। পৃষ্ঠা: ১৫৩। [নমুনা]
শ্রাবণগাথা (শ্রাবণ ১৩৪১ বঙ্গাব্দ)।
স্বরবিতান একত্রিংশ (৩১, গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডের (পৌষ ১৪১২ বঙ্গাব্দ)তৃতীয় গান। পৃষ্ঠা ১৩-১৬।
পত্রিকা
প্রবাসী (আশ্বিন ১৩৩০ বঙ্গাব্দ)।
প্রাচী, ঢাকা ( শ্রাবণ ১৩৩০ বঙ্গাব্দ)।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
স্বরবিতান ৩২ খণ্ডটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে। এই সংস্করণে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি গৃহীত হয়েছিল। এরপরের প্রথম সংস্করণ হয় শ্রাবণ ১৩৬০ বঙ্গাব্দে। এই সংস্করণেও এই স্বরলিপি ছিল। এই সংস্করণে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপিটি সুরান্তর হিসেবে দেখানো হয়েছে। উল্লেখ্য এই সংস্করণটির সম্পাদনা করেছিলেন অনাদিকুমার দস্তিদার।
[দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুরের জীবনী]
[দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুরকৃত স্বরলিপির তালিকা]
সুর ও তাল:
স্বররবিতান একত্রিংশ (৩১, গীতমালিকা দ্বিতীয় খণ্ড) খণ্ডে (পৌষ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ) গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩ মাত্রা ছন্দে দাদরা / ষষ্ঠী তালে নিবদ্ধ।
[ দাদরা নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
রাগ: কাফি। তাল: দাদরা / ষষ্ঠী।[রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)], পৃষ্ঠা: ৭১।
রাগ: কাফি, তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১২৪।]
[কাফি রাগে নিবদ্ধ গানের তালিকা]
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।