বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম: ভুবনজোড়া আসনখানি
পাঠ ও পাঠভেদ:

• গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ:

            ভুবনজোড়া আসনখানি

        আমার হৃদয়-মাঝে বিছাও আনি ॥

        রাতের তারা, দিনের রবি, আঁধার-আলোর সকল ছবি,

তোমার আকাশ-ভরা সকল বাণী- হৃদয়-মাঝে বিছাও আনি ॥

             ভুবনবীণার সকল সুরে

       আমার হৃদয় পরান দাও-না পূরে।

       দুঃখসুখের সকল হরষ, ফুলের পরশ, ঝড়ের পরশ-

 তোমার করুণ শুভ উদার পাণি হৃদয়-মাঝে দিক্-না আনি ॥

• পাণ্ডুলিপির পাঠ: RBVBMS 111   [নমুনা]

• পাঠভেদ: ১৩২৫ বঙ্গাব্দের মাঘোৎসবে গানটি প্রথম গীত হয়। পাঠভেদ আছে। স্বরবিতান-১৬'এর ১৯৩ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত পাঠভেদটি নীচে তুলে ধরা হলো।

   

          ভুবনজোড়া....আমার হৃদয়-মাঝে            : স্বরলিপি, গীতপঞ্চাশিকা (আশ্বিন ১৩২৫)

          তোমার ভুবনজোড়া...হৃদয়-মাঝে            : কথার অংশ, গীতপঞ্চাশিকা (আশ্বিন ১৩২৫)

                                                                 গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)

   

         ভুবনবীণার....আমার হৃদয় পরাণ            : স্বরলিপি, গীতপঞ্চাশিকা (আশ্বিন ১৩২৫)

         তোমার ভুবনবীণার....হৃদয় পরাণ           : কথার অংশ, গীতপঞ্চাশিকা (আশ্বিন ১৩২৫)

                                                                গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)

• তথ্যানুসন্ধান

  • ক. রচনাকাল ও স্থান:  RBVBMS 111  পাণ্ডুলিপিতে এই গানের স্থান ও রচনাকাল উল্লেখ আছে- 'তোসা-মারু/চীন সমুদ্র/৮ জ্যৈষ্ঠ ১৩২৩'। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ ১৮ই বৈশাখ [সোমবার,১ মার্চ] রাতে 'তোসামারু' নামক জাহাজে চড়ে জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। আর ৮ই জ্যৈষ্ঠ চীন সমুদ্রে অবস্থানকালে তিনি এই গানটি রচনা করেছিলেন। এই সময়  রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৫ বৎসর ১ মাস।      
        [দেখুন: ৫৫ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]

  • খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
    • গ্রন্থ

      • গীতপঞ্চাশিকা প্রথম সংস্করণ [আশ্বিন ১৩২৫ বঙ্গাব্দ। ৩০ সংখ্যক গান]।

      • গীতবিতান
        • দ্বিতীয় খণ্ড প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। গীতপঞ্চাশিকা (১৩২৫ বঙ্গাব্দ) থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা ৫৫৭] [নমুনা]
        • প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ [বিশ্বভারতী ১৩৪৮। পূজা, উপবিভাগ: বিশ্ব ১৯। পৃষ্ঠা: ১৪৩] [নমুনা]
        • অখণ্ড, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পূজা ৩৫২, উপবিভাগ: বিশ্ব ১৯।

      • প্রবাহিনী [বিশ্বভারতী ১৩৩২ বঙ্গাব্দ। পূজা ২০। পৃষ্ঠা: ৬৬] [নমুনা]

      • স্বরবিতান  ষোড়শ (১৬, গীতপঞ্চাশিকা। আশ্বিন ১৪১৩) খণ্ডের ৩০ সংখ্যক  গান। পৃষ্ঠা: ১০৪-০৬। [নমুনা]

    • পত্রিকা:

      • আনন্দসঙ্গীত পত্রিকা (আষাঢ় ১৩২৪ বঙ্গাব্দ)। স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল। স্বরলিপিকারের নাম উল্লেখ ছিল না।

      • তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (চৈত্র ১৩২৫ বঙ্গাব্দ)। বেহাগ-তেওরা। পৃষ্ঠা ৩২০। [নমুনা]

    • রেকর্ড সূত্র: পাওয়া যায় নি।
    • প্রকাশের কালানুক্রম: গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল 'আনন্দসঙ্গীত পত্রিকা'র 'আষাঢ় ১৩২৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়। এরপর যে সকল গ্রন্থে ও পত্রিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
      গীতপঞ্চাশিকা (১৩২৫ বঙ্গাব্দে) ও তত্ত্ববোধিনী 'চৈত্র ১৩২৫ বঙ্গাব্দ' সংখ্যা।
      
      এরপর গানটি ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ড প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে পূজা পর্যায়ের বিশ্ব উপবিভাগের ১৯ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের পূজা পর্যায়ের ৩৫২ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।

  • গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
    • স্বরলিপিকার:  দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
    • সুর ও তাল:

      • স্বরবিতান  ষোড়শ  (১৬, গীতপঞ্চাশিকা, আশ্বিন ১৪১৩) খণ্ডে গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।২।২ মাত্রা ছন্দে নিবদ্ধ।

      • রাগ: বেহাগ। তাল: তেওরা [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৭১

      • রাগ: বেহাগ। তাল: তেওরা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১২৩]
                  [স্বরলিপি]

      • গ্রহস্বর-পা।

      • লয়-মধ্য।