সকলকলুষতামসহর, জয় হোক তব জয়-
অমৃতবারি সিঞ্চন কর' নিখিলভুবনময়-
মহাশান্তি, মহাক্ষেম, মহাপূণ্য, মহাপ্রেম ॥
জ্ঞানসূর্য-উদয়-ভাতি ধ্বংস করুক তিমিররাতি-
দুঃসহ দুঃস্বপ্ন ঘাতি অপগত কর' ভয় ॥
মোহমলিন অতি-দুর্দিন-শঙ্কিত-চিত পান্থ
জটিল-গহন-পথসঙ্কট-সংশয়-উদ্ভ্রান্ত।
করুণাময়, মাগি শরণ- দুর্গতভয় করহ হরণ,
দাও
দুঃখবন্ধতরণ মুক্তির পরিচয় ॥
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: এই
গানটির রচনাকাল সম্বন্ধে কোন স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে পরষ্পর
বিরোধী মোট তিনটি সূত্র পাওয়া যায়-
১৩৩৩
বঙ্গাব্দ। [সূত্র:
স্বরবিতান ত্রয়োদশ (১৩)
খণ্ড
(বিশ্বভারতী,
),
পৃষ্ঠা ৯২।]
১২-১৪
পৌষ ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। [সূত্র: গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী'/প্রভাতকুমার
মুখোপাধ্যায়। গীততালিকা-১৭৮০।]
বৈশাখ
১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। [সূত্র: রবীন্দ্ররচনাবলী অষ্টাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা
৫৭৯।]
খ.
প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
নটীর পূজা
জোড়াসাঁকোতে নটীর পূজা
অভিনয় কালে মুদ্রিত পুস্তিকা
[১৩৩৮ বঙ্গাব্দ।
তৃতীয় অংক,
ভিক্ষুকদের গান]
রবীন্দ্ররচনাবলী অষ্টাদশ খণ্ড
(বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ১৮৩-৮৪]
স্বরবিতান ত্রয়োদশ (১৩) খণ্ড
(বিশ্বভারতী,
),
গান
সংখ্যা: ৩,
পৃষ্ঠা
৮-১০।
[নমুনা]
পত্রিকা:
বিশ্বভারতী পত্রিকা (আশ্বিন ১৩৪৯ বঙ্গাব্দ)।
শৈলজারঞ্জন মজুমদার-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি
রবীন্দ্রনাথের ৭০ বৎসর বয়সে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
নটীর পূজা
নাটকটির প্রথম সংস্করণে (১৩৩৩ বঙ্গাব্দ) গানটি গৃহীত হয় নি। ১৩৩৮
বঙ্গাব্দের পৌষ মাসের ১২,
১৩ ও ১৪ তারিখে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে কলিকাতার
জোড়াসাঁকোতে
নটীর পূজা
অভিনয় কালে গানটি গীত হয়েছিল। উক্ত উৎসবকালে মুদ্রিত
পুস্তিকায় গানটি গৃহীত হয়েছিল।
গ.
সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি:
[স্বরলিপি]।
বিশ্বভারতী পত্রিকা -এর আশ্বিন ১৩৪৯ সংখ্যা থেকে
স্বরবিতান ত্রয়োদশ (১৩)
খণ্ডে গৃহীত হয়েছে।
স্বরলিপিকার:
শৈলজারঞ্জন মজুমদার।
সুর
ও
তাল:
স্বরবিতান ত্রয়োদশ (১৩)
খণ্ডে (বিশ্বভারতী,
)
গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি
৩।৩ মাত্রা ছন্দে 'দাদরা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ :
সাহানা। তাল : দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬],
পৃষ্ঠা: ৭৯।
রাগ:
সাহানা,
আড়ানা।
তাল: দাদরা।
[রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ
রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১],
পৃষ্ঠা:
১৩৭।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর:
সা।
লয়:
মধ্য।
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
[নমুনা
প্রথমাংশ,
দ্বিতীয়াংশ]
উল্লেখ্য,
১৩৩৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
নটীর পূজা
নাটকটির প্রথম সংস্করণে গানটি গৃহীত হয় নি। সম্ভবত সে সময়ে এ গানটি
রচিত হয় নি। এরপর ১৩৩৮
বঙ্গাব্দের পৌষ মাসের ১২,
১৩ ও ১৪ তারিখে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে কলিকাতার
জোড়াসাঁকোতে নটীর পূজা
অভিনয় কালে গানটি গীত হয়েছিল। উক্ত উৎসবকালে মুদ্রিত
পুস্তিকায় গানটি গৃহীত হয়েছিল। এই বিচারে ধারণা করা যায়, গানটি রচনার
সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৭০ বৎসর ৮-৯ মাস।
[৭০
বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
এরপর
গানটি ১৩৩৯
বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
গীতবিতানের
তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণে
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে
পূজা
পর্যায়ের
বিবিধ
উপবিভাগের
৫
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে
প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ৩৭৭
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।