সবাই যারে সব দিতেছে তার কাছে সব দিয়ে ফেলি।
ক’বার আগে চাবার আগে আপনি আমায় দেব মেলি॥
নেবার বেলা হলেম ঋণী, ভিড় করেছি, ভয় করি নি—
এখনো ভয় করব না রে, দেবার খেলা এবার খেলি॥
প্রভাত তারি সোনা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে নেচেকুঁদে।
সন্ধ্যা তারে প্রণাম ক’রে সব সোনা তার দেয় রে শুধে।
ফোটা ফুলের আনন্দ রে ঝরা ফুলেই ফলে ধরে—
আপনাকে, ভাই, ফুরিয়ে-দেওয়া চুকিয়ে দে তুই বেলাবেলি॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাওয়া যায়নি।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
রবীন্দ্রনাথ ফাল্গুনী নাটক শেষ করেছিলেন
ফাল্গুন মাসে। এর ভিতরে ১৬টি গান তিনি সুরুলে থাকাকালে
RBVBMS
131
-পাণ্ডুলিপিতে লিখেছিলেন। এরপর
প্রমথ চৌধুরী
সম্পাদিতর 'সবুজপত্র' পত্রিকার 'চৈত্র ১৩২১ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায় ফাল্গুনী নাটকটি মুদ্রিত হয়েছিল। এই সময় উল্লিখিত ১৬টি গান ছাড়া এই গানসহ
মোট ১৩টি
নতুন
গান যুক্ত হয়েছিল। এই নতুন গানগুলো রচনার
সুনির্দিষ্ট তারিখ বা স্থান পাওয়া যায় না।
যেহেতু 'সবুজপত্র' পত্রিকার 'চৈত্র ১৩২১ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায় প্রকাশিত 'ফাল্গুনী' নাটকে
গানগুলো স্থান পেয়েছিল। এই সূত্রে ধারণা করা হয়, এই গানগুলো ফাল্গুনী
নাটকের জন্য ফাল্গুন মাসেই রচিত হয়েছিল। এই সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল
৫৩ বৎসর ১০ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫৩ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
ঋতু-উৎসব [বিশ্বভারতী। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দ। ফাল্গুনী। চতুর্থ দৃশ্য। বাউলের গান। পৃষ্ঠা ২০৪-২০৫] [নমুনা প্রথমাংশ শেষাংশ]
প্রথম সংস্করণের [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২২ বঙ্গাব্দ (১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ)। চতুর্থ দৃশ্য
রবীন্দ্ররচনাবলী দ্বাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ১৩৫।
স্বরবিতান সপ্তম (৭, ফাল্গুনী) খণ্ডের (কার্তিক ১৪১৩ বঙ্গাব্দ) ২৫ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৭৮-৮০।
পত্রিকা:
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি
রবীন্দ্রনাথের ৫৩ বৎসর ১১ মাস বয়সে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার: স্বরবিতান সপ্তম (৭, ফাল্গুনী) খণ্ডে গানটির স্বরলিপিকারের নাম স্পষ্ট জানা যায় না। প্রভাতকুমার মুখোপধ্যায় তাঁর গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী' গ্রন্থে স্বরলিপিকারের নাম হিসাবে
ইন্দিরাদেবীর নাম উল্লেখ করেছেন।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান সপ্তম (৭, ফাল্গুনী) খণ্ডের (কার্তিক ১৪১৩ বঙ্গাব্দ গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।২।২ মাত্রা ছন্দে তেওরা তালে নিবদ্ধ।
বাউল। তাল : তেওরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮১।
রাগ: কীর্তন। তাল: তেওরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৩৫।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: মা।
লয়: মধ্য।