১৪৪
                 তাল: কাহার্‌বা
তুমি     হাতখানি যবে রাখ মোর হাতের পরে
মোর     কণ্ঠ হ'তে সুরের গঙ্গা ঝরে॥
তব      কাজল-আঁখির ঘন পল্লব তলে
          বিরহ মলিন ছায়া মোর যবে দোলে
তব      নীলাম্বরীর ছোঁয়া লাগে যেন সেদিন নীলাম্বরে॥
          যেদিন তোমারে পাই না কাছে গো পরশন নাহি পাই,
          মনে হয় যেন বিশ্ব ভুবনে কেহ নাই, কিছু নাই।
          অভিমানে কাঁদে বক্ষে সেদিন বীণ
          আকাশ সেদিন হয়ে যায় বাণী হীন
যেন     রাধা নাই, আর বৃন্দাবনে গো সব সাধ গেছে ম'রে॥

 ১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:

২. রেকর্ড সূত্র: ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে এইচ.এম.ভি রেকর্ড কোম্পানি থেকে প্রথম গানটির রেকর্ড প্রকাশিত হয়। শিল্পী ছিলেন কমল দাশগুপ্ত। রেকর্ড  নম্বর N 27471। সূত্র: রেকর্ড বুলেটিন। সুর-শিল্পী (কমল দাশগুপ্ত)।

৩. রচনাকাল: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায় না। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে গানটির প্রথম রেকর্ড প্রকাশিত হয়। এই সময় নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৪৫ বৎসর।

৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ: 
গানটির প্রথম চার পংক্তি কবি পাণ্ডুলিপিতে সূচনা করেছিলেন এভাবে--
                       
তুমি হাতখানি যবে রাখ গো হাতের পরে
                             সেদিন আমার অঙ্গুলি বেয়ে সুরের গঙ্গা ঝরে॥
                             তব ডাগর আঁখির ঘন পল্লব তলে
                             বিরহমলিন ছায়া মোর যবে দোলে
           [সুত্র: নজরুল-গীতি, অখণ্ড। কাব্য-গীতি, ৩৬৬ সংখ্যক গান (হরফ প্রকাশনী, ২৩ জানুয়ারি ২০০৪)
পৃষ্ঠা: ৯৫-৯৬]।
                  
                      
৫. সুরকার: কমল দাশগুপ্ত।

৬. স্বরলিপিকার: 

৭. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
রাগ:
নজরুল-সঙ্গীত স্বরলিপি, চব্বিশতম খণ্ডে গৃহীত স্বরলিপির সাথে রাগের উল্লেখ নেই।
তাল লেখা হয়েছে কাহারবা।
সুরের অঙ্গ:
পর্যায়: প্রেম।
গ্রহস্বর: পা।