৬১১
রাগ: ভৈরবী, তাল: কাহার্বাখেলিছ এ বিশ্ব লয়ে বিরাট শিশু আনমনে।
প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা নিরজনে প্রভু নিরজনে॥শূন্যে মহা আকাশে
মগ্ন লীলা বিলাসে,
ভাঙিছ গড়িছ নিতি ক্ষণে ক্ষণে॥
তারকা রবি শশী খেলনা তব, হে উদাসী,
পড়িয়া আছে রাঙা পায়ের কাছে রাশি রাশি।
নিত্য তুমি, হে উদার
সুখে দুখে অবিকার;
হাসিছ খেলিছ তুমি আপন মনে॥
ভাবার্থ:
শিশু যেমন তার খেলনা নিয়ে আপন খেয়ালে নানা রকম ভাঙা-গড়ার খেলা খেলে, জগৎস্রষ্টা
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড নিয়ে তেমনি আপন খেলায় মগ্ন। এই বিরাট শিশু সঙ্গীহীন, তাই তার খেলা
চলে নির্জনে।
আপন আনন্দের এই খেলা বিরমাহীনভাবে চলেছে মহাবিশ্বের অনন্ত আকাশ জুড়ে। সেখানে মহাকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের সৃষ্টি ও লয়, সুশৃঙ্খল গতিপথ সবই তাঁর খেলার অংশ। তার পরম যত্নের সৃষ্টিই যেন পড়ে থাকে চরম অবহেলায় পায়ের কাছে। বিশ্বরাজ তাঁর আপন খেলায় নির্বিকার থাকেন। জাগতিক কোনো সুখ-দুঃখ তাঁকে স্পর্শ করে না। সৃষ্টি এবং ধ্বংসের ভিতর দিয়ে তাঁর লীলা এবং এর ভিতর দিয়ে তিনি বিরাজ করেন সদানন্দ রূপে।
১. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
২. রেকর্ড সূত্র : ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসে এইচএমভি রেকর্ড কোম্পানি গানটি প্রথম রেকর্ড করে । গানটির শিল্পী ছিলেন মৃণালকান্তি ঘোষ। রেকর্ড নং HMV N0. N 7393।
৩. রচনাকাল:
গানটি প্রকাশের সময় কাজী নজরুল ইসলামের বয়স ছিল ৩৬ বৎসর।
৪. প্রাসঙ্গিক পাঠ:
৫. সুরকার:
৬.
স্বরলিপিকার: এস. এম. আহসান
মুর্শেদ
[এসএম আহসান
মুর্শেদ-কৃত নজরুল সঙ্গীতের স্বরলিপির তালিকা]
৭.
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
রাগ: ভৈরবী
[ভৈরবী
রাগে নিবদ্ধ নজরুল সঙ্গীতের তালিকা]
তাল:
কাহারবা
[কাহারবা
তালে নিবদ্ধ নজরুল সঙ্গীতের তালিকা]
পর্যায়: ভক্তিমূলক, ভজন।
গ্রহস্বর: সা