বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ১০ এপ্রিল
(শনিবার, ২৭ চৈত্র ১৩৭৭) সূত্র : বাংলাদেশের
স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্র: মুজিবনগর প্রশাসন, তৃতীয় খণ্ড, প্রকাশকাল: নভেম্বর
১৯৮২)
এপ্রিল ১৯৭১
পূরব-পাঠ: মার্চ
গত মাসের পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পরিচালিত 'অপারেশন সার্চ লাইট'-এর
মাধ্যমে তদানীতন পূর্ব-পাকিস্তানে বাঙালি নিধন শুরু হয়েছিল। এর শুরুটা হয়েছিল ঢাকায়।
পরে পাকিস্তানিরা এই হত্যাযজ্ঞ সমগ্র পূর্ব-পাকিস্তানে সম্প্রসারিত করে। এই
প্রেক্ষিতে মার্চ মাসে ঘোষিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা।
২৬ মার্চের পর থেকে
উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং নানা পেশার বহু সাধারণ মানুষ পূর্ব-পাকিস্তান
থেকে ভারতে প্রবেশ করে।
পরে আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতারা
সর্বসম্মতিক্রমে 'গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ'-নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের রূপরেখা
প্রণয়ন করেন।এ সকল ঘটনা ধারাবাহিক কার্যক্রম তুলে ধরা হলো-
আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাংসদগণ আগরতলায় একত্রিত হয়ে
এক সর্বসস্মত সিদ্ধান্তে সরকার গঠন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই সরকার স্বাধীন
সার্বভৌম "গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার"। স্বাধীনতার সনদ
(Charter of Independence) বলে এই
সরকারের কার্যকারিতা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত হয়। এরই সূত্র ধরে
‒
১৭ই এপ্রিল
৭১ মেহেরপুর মহকুমার ভবেরপাড়া গ্রামে বৈদ্যনাথ তলায় "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
সরকার" আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন।
১০ই এপ্রিল নির্বাচিত সাংসদগণ আগরতলায় গৃহীত
সিদ্ধান্ত অনুসারে ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুর মহকুমার ভবেরপাড়া গ্রামে
বৈদ্যনাথ তলায় "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার" আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির এই সরকারের মন্ত্রী পরিষদ সদস্যদের শপথ পাঠ করান জাতীয়
সংসদের স্পীকার অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
[বিস্তারিত:
স্বাধীনতার সনদ]
[বি্স্তারিত:
সিলেটের গণহত্যা ও ধর্ষণ]
[বি্স্তারিত:
মাধবপুর ও যশোহরে মুক্তিযুদ্ধ ]
[বি্স্তারিত:
রংপুর কারমাইকেলে হত্যা ]