কিশোরগঞ্জ জেলা
বাংলাদেশের
ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। এর ভৌগোলিক অবস্থান  ২৪০২" থেকে ২৪৩৮" উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০০২" থেকে ৯১১৩" পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। এর মোট আয়তন ২৭৩১.২১ বর্গ কিমি।  এর উত্তরে নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলা, দক্ষিণ নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা, পূর্বে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ ও গাজীপুর‎ জেলা।

১৩টি উপজেলা নিয়ে এই জেলাটি গঠিত। এগুলো হলো
কুলিয়ারচর, হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ সদর, বাজিতপুর, অষ্টগ্রাম, করিমগঞ্জ,
কটিয়াদী, তাড়াইল, ইটনা, নিকলী, মিঠামইন ও ভৈরব।

এ জেলার উল্লেখযোগ্য নদী:  পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ও মেঘনা, কালনী, ঘোড়াউতরা, ধনু।

১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মে ময়মনসিংহ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। সে সময় বর্তমান কিশোরগঞ্জ ময়মনসিংহের অন্তর্গত হয়েছিল।
১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দে নিকলী, বাজিতপুর ও কিশোরগঞ্জ থান নিয়ে কিশোরগঞ্জ মহকুমা তৈরি করা হয়। এই মহকুমার প্রথম প্রশাসক ছিলেন মিঃ বকসেল। বর্তমান কিশোরগঞ্জ তৎকালীন জোয়ার হোসেনপুর পরগনার অন্তর্গত ছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে এর নাম ছিল ‘কাটখালী’। জনশ্রুতি আছে এজেলার জমিদার ব্রজকিশোর (মতান্তরে নন্দকিশোর প্রামাণিকের ‘কিশোর’) এবং তার প্রতিষ্ঠিত হাট বা গঞ্জের ‘গঞ্জ’ যোগ করে কিশোরগঞ্জে’র নামকরণ করা হয়েছিল। কিশোরগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৬৯ সালে। ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১লা ফেব্রুয়ারি, ১৩টি থানা নিয়ে জেলা ঘোষণা করা হয় এবং প্রথম জেলা প্রশাসক ছিলেন জনাব এম.এ মান্নান।

কিশোরগঞ্জের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্য হলো এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদগাহ শোলাকিয়া ঈদগাহ। প্রায় ৬.৬১ একর জমিতে অবস্থিত এ ঈদগাহে ঈদের জামায়াতে প্রায় দু’ লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন।


১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য ঘটনা:


সূত্র:
http://www.banglapedia.org
http://www.kishoreganj.gov.bd