পাগলা
ভারত বাংলাদেশের একটি নদী। একসময় নদীটির স্রোত ছিল উন্মত্তের মতো ছিল। এই কারণে স্থানীয় লোকেরা এর নাম দিয়েছিল পাগলা নদী। তবে বর্তমানে নদীটির প্রবাহ অত্যন্ত ক্ষীণ স্রোতধারায় পরিণত হয়েছে।

হিমালয় পর্বতের
ভারতের  পশ্চিমবঙ্গ
মালদহ জেলা থেকে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার উত্তর-পশ্চিম অংশে শাহবাজপুর ইউনিয়নের নামোচাকপাড়া মৌজা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর নদীটিা শাহাবাজপুর, বিনোদপুর, শ্যামপুরের মধ্য দিয়ে কানসাট ও দুর্লভপুর ইউনিয়নের পাশ ঘেঁষে বেশ কিছুদূর প্রবাহিত হয়েছে। এরপর ছত্রাজিতপুর উজিরপুরের নিকটবর্তী তত্তীপুর নামক স্থানের পাশে মরা পদ্মানদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এ মিলিত সম্মিলিত স্রোতধারা পাগলানদী নামে ছত্রাজিতপুর ও ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে নবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রবেশ করেছে। এরপর মহানন্দা নদীর সাথে মিলিত হয়ে মহানন্দা নামে পদ্মানদীতে পতিত হয়েছে।

পাগলা নদী দিয়ে এক সময় চলাচল করতো বড় বড় নৌকা। নদীতে  প্রচুর দেশী প্রজাতির মাছ ছিল। এই নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছিল রামচন্দ্রপুর হাটে ব্রিটিশদের নীলকুঠি। এছাড়া রামচন্দ্রপুর বাজার, কালিনগর বাজার, রাণীহাটি বাজার, শিবগঞ্জ বাজার, কানসাট বাজার গড়ে উঠেছিল । এসব বাজারে নৌকাযোগে ব্যবসায়ীরা এক সময় মালামাল পরিবহন করতেন।

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশ বিভাগের পর এই পাগলা নদী শিবগঞ্জ উপজেলার প্রাণ ছিল। পাগলা নদীর তীরে অবস্থিত কানসাট ও তত্তিপুর হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত। প্রতিবছর মাঘী পুর্ণিমা উপলক্ষে তত্তিপুর ও কানসাটে গঙ্গাস্নান করতেন। কানসাটে রয়েছে জাহ্নমুনির আশ্রম। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার জমিদার কুঁজে রাজার কানসাট রাজবাড়ি এই পাগলা নদীর তীরেই অবস্থিত।