চাঁপাই
নবাবগঞ্জ
জেলা
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের
রাজশাহী বিভাগের একটি
জেলা।
স্থানাঙ্ক : ২৪°২২ হতে ২৪°৫৭ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭°৫৫`হতে ৮৮°২৩ `পূর্ব
দ্রাঘিমাংশ।
অবস্থান:
বাংলাদেশের মানচিত্রে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অবস্থান সর্ব পশ্চিমে। পূর্বদিকে
রাজশাহী ও
নওগাঁ জেলা, উত্তরে
ভারতের
পশ্চিমবঙ্গ
রাজ্যের মালদহ জেলা, পশ্চিমে পদ্মা
নদী ও মালদহ জেলা এবং দক্ষিণে পদ্মা
নদী ও মুর্শিদাবাদ জেলা (পশ্চিমবঙ্গ)।
এর আয়তন ১,৭০২.৫৬ বর্গকিলোমিটার। এই জেলার
উপজেলা সংখ্যা
৫টি। এই উপজেলাগুলো হলো−
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট। এই জেলার থানার
সংখ্যা ৫টি। এগুলো হলো−নবাবগঞ্জ,
শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট। এই জেলার
পৌরসভা ৪টি। এগুলো হলো
−চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শিবগঞ্জ,
রহনপুর ও নাচোল। জেলার ইউনিয়ন ৪৫টি,এবং গ্রাম ১,১৩৬টি।
দেখুন: চাঁপাই নবাবগঞ্জের ইতিহাস
নদ-নদী :
পদ্মা
: গঙ্গা নদী ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ
উপজেলার পাশ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময়
পদ্মা নাম ধারণ করেছে। এর উজানে ফারাক্কা বাঁধ নির্মিত হওয়ার পর থেকে পদ্মায়
পানি প্রবাহ কমে বিশাল চর জেগে উঠেছে। ফলে পদ্মা তার পূর্বেকার রূপটি হারিয়ে
ফেলেছে।
মহানন্দা : এই জেলার
ভোলাহাট উপজেলার মধ্য দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরে এই নদী
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় পদ্মার সঙ্গে মিলিত হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা
শহরটি মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত।
পাগলা:
ভারত থেকে আসা পাগলা নদী শিবগঞ্জ উপজেলার তত্তীপুরে মরাগঙ্গার সাথে মিলিত হয়ে
কিছুদূর এগিয়ে
মহানন্দায় পড়েছে।
পুনর্ভবা: বাংলাদেশের দিনাজপুর ও ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর জেলা পাড়ি দিয়ে এসে এই নদী নওগাঁ জেলার উত্তর-পশ্চিম কোণে পাতাড়ি গ্রামের সামান্য উত্তরে সাপাহার থানায় প্রবেশ করেছে। এরপর সেখান থেকে দক্ষিণে আলাদিপুর গ্রামের নিকট সাপাহার অতিক্রম করে পোরশার সীমায় উপনীত হয়েছে। এরপর প্রায় ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে নীতপুরে হয়ে প্রায় ৮ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে রোকনপুরের বিলের মধ্যে গিয়ে নবাবগঞ্জ জেলায় প্রবেশ করেছে। এরপর রোহনপুরে মহানন্দার সাথে মিলিত হয়ে মহানন্দা নামে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর রাজশাহী গোদাগাড়ির নিকট মহানন্দা পদ্মা সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
বিল ও জলাভূমি:
নদ-নদীর পাশাপাশি এ জেলায় রয়েছে বিলভাতিয়া, বিল চুড়ইল, বিল সিংড়া, বিল হোগলা,
বিল পুটিমারি, বিল আনইল এবং বিল মরিচাদহ ও বিল কুমিরাদহ এর মত অসংখ্য বিল ও
জলাভূমি। বর্তমানে এসকল বিলের অধিকাংশ ভরাট হয়ে মাঠান ভূমিতে পরিণত হচ্ছে।
ভূ-প্রকৃতি
ভূ-প্রকৃতির বিচারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে দুটো ভাগে বিভক্ত করা যায়। যথা ১.
বরেন্দ্র অঞ্চল ও ২. দিয়াড় অঞ্চল।
১.বরেন্দ্র অঞ্চল: মহানন্দা নদীর পূর্ব দিকের এলাকা বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, গোমস্তাপুর উপজেলার কিছু অংশ এবং নাচোল উপজেলার সমগ্র অঞ্চল বরেন্দ্র এলাকার অন্তর্ভুক্ত। এই অঞ্চলের প্রধান উৎপাদিত ফসল।
২. দিয়াড় অঞ্চল: মহানন্দা নদী থেকে পশ্চিম দিকের এলাকা দিয়াড় নামে পরিচিত। গঙ্গা নদীর ক্রমাগত গতিপথ পরিবর্তনের ফলে এই অঞ্চল গড়ে উঠেছে। নদী গঠিত এই এলাকার ভূমি খুব উর্বর। এককালে এই এলাকা রেশম ও নীল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ছিল। বর্তমানে জেলার অধিকাংশ আমবাগান দিয়াড় অঞ্চলে অবস্থিত।
জলবায়ু: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জলবায়ু রুক্ষ ও চরমভাবাপন্ন। এখানকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা যথাক্রমে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৮৬ সেন্টিমিটার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের দর্শনীয় স্থান :
দাসবাড়ি
মসজিদ
সোনা মসজিদ (ছোটো)
সূত্র :
http://www.rajshahi.gov.bd