পুনর্ভবা

বাংলাদেশের দিনাজপুর ও ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর জেলা পাড়ি দিয়ে এসে এই নদী নওগাঁ জেলার উত্তর-পশ্চিম কোণে পাতাড়ি গ্রামের সামান্য উত্তরে সাপাহার থানায় প্রবেশ করেছে। এরপর সেখান থেকে দক্ষিণে আলাদিপুর গ্রামের নিকট সাপাহার অতিক্রম করে পোরশার সীমায় উপনীত হয়েছে। এরপর প্রায় ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে নীতপুরে হয়ে প্রায় ৮ কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে রোকনপুরের বিলের মধ্যে গিয়ে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলায় প্রবেশ করেছে। এরপর চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার রোহনপুরে মহানন্দার সাথে মিলিত হয়ে মহানন্দা নামে প্রবাহিত হয়েছে। এরপর রাজশাহী গোদাগাড়ির নিকট মহানন্দা পদ্মা সঙ্গে মিলিত হয়েছে।

অষ্টাদশ শতকের প্রায় শেষ পর্যন্ত এই নদীটি জলপাইগুড়ির দক্ষিণে তিস্তা তিনটি ধারায় প্রবাহিত হত। এই ধারা তিনটির পূর্বেটির নাম করতোয়া, পশ্চিমেরটির নাম পুনর্ভবা ও মধ্যেভাগেরটির নাম আত্রাই ১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দের অতিবৃষ্টির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলে একটি ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল। এর ফলে  তিস্তা নদীটি গতিপথ পরিবর্তন করে লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা জেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়ে চিলমারী নদীবন্দরের দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র নদে পতিত হয়।