বর্ণ্
সংস্কৃত ক্রিয়ামূল। এর ভাবগত অর্থ হলো-রঞ্জিত করা, চিত্রিত করা, চিহ্নিত করা, বর্ণনা করা, বিস্তার করা ইত্যাদি।
বাংলা ভাষায় এর সকল অর্থে উৎপন্ন শব্দ
ব্যবহৃত হয় না। এই ক্রিয়ামূল থেকে উৎপন্ন যে সকল শব্দ বাংলাতে
ব্যবহৃত হয়, তার তালিকা দেওয়া হলো-
বিশেষ্য-বিশেষণবাচক উৎপন্ন শব্দ
- রঞ্জিত করা অর্থে-
√বর্ণ্ (রঞ্জিত করা) +
অ (অচ্)=
বর্ণ
[রঙ, বরণ, বর্ণ, রং, রঙ, রাগ। যেমন কৃষ্ণবর্ণ]
- চিত্রিত করা অর্থে-
√বর্ণ্ (চিত্রিত করা) +
অ (অচ্)=
বর্ণ
[অক্ষর, হরফ। যেমন বাংলা বর্ণ]
- চিহ্নিত করা অর্থে-
√বর্ণ্ (চিহ্নিত করা) +
অ (অচ্)=
বর্ণ
[সনাতন ধর্মমতে মনুষ্য জাতির গোষ্ঠীকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা অর্থে বর্ণ। যেমন- ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র। এগুলো বর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়]
- বর্ণনা করা অর্থে-
√বর্ণ্ (বর্ণনা করা) +
অন্ (ল্যুট)=
বর্ণন
[সবিস্তারে কথন, বিবৃতি, ব্যাখান।]
বর্ণনা অর্থে ব্যবহৃত বর্ণ শব্দ থেকে বাংলা নাম-ধাতু তৈরি হয়। যেমন-
বর্ণ>√বর্ণ + ইব= বর্ণিব। যেমন− কেমনে বর্ণিব তোমার রচনা [পূজা-৩০৪। গীতবিতান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]