বর্ণ
বানান বিশ্লেষণ: ব্+অ+র্+ণ্+অ
উচ্চারণ:
[ bɔrn.no]
[বর্ন্.নো]
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত বর্ণ>
বাংলা বর্ণ
বর্ণ ১
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: √বর্ণ্ (রঞ্জিত করা)
+অ (অচ্),
করণবাচ্য
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
দরশনগত লক্ষণগুণ |
লক্ষণগুণ |
সত্তাগুণ |
বিমূর্তন |
সত্তা|}
অর্থ: যা দিয়ে রঞ্জিত করা হয়, এই অর্থে
বর্ণ।
সমার্থক শব্দাবলি:
বরন, বর্ণ,
রং, রঙ, রাগ
উদাহরণ: কৃষ্ণ বর্ণ, লোহিত বর্ণ। [দেখুন:
রঙ [আলো, পদার্থ বিজ্ঞান]
ইংরেজি:
color, colour, coloring, colouring
বর্ণ ২
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: √বর্ণ্ (চিত্রিত করা)
+অ (অচ্),
করণবাচ্য
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{ | বর্ণচিহ্ন |
লিখিত প্রতীক |
প্রতীক |
সঙ্কেতচিহ্ন |
যোগাযোগ |
বিমূর্তন |
বিমূর্ত সত্তা |
সত্তা | }
অর্থ: যার দ্বারা ভাষার মৌলিক ধ্বনিরূপকে চিত্ররূপে প্রকাশ করা হয়। আবার কোনো ভাষার
ধ্বনিকে লিখিত আকারে যে সকল চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তার মৌলিক এককগুলি হলো বর্ণচিহ্ন।
ভাষাকে উপস্থাপন করে এমন লিখিত প্রতীক এই অর্থে- বর্ণচিহ্ন (
character
),বর্ণমূল
(grapheme
),
বর্ণ-প্রতীক (graphic symbol
)।
সমার্থক শব্দাবলি: অক্ষর, আঁখর, বর্ণ,
লিপি ,
হরফ।
[দেখুন: লিপি]
ইংরেজি:
letter, letter of the alphabet, alphabetic character
বর্ণ ৩
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: √বর্ণ্ (চিহ্নিত করা)
+অ (অচ্),
করণবাচ্য
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{সামাজিক শ্রেণি |
মনুষ্যদল |
দল |
বিমূর্তন |
বিমূর্তসত্তা |
সত্তা |}
অর্থ: হিন্দু
জাতিগত গোষ্ঠী বিভাজিত চারটি দল।
ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র। এদের গোষ্ঠীগত পরিচয় বর্ণ।
সমার্থক শব্দাবলি: জাতি, বর্ণ।
উদাহরণ: শূদ্র বর্ণ।
ইংরেজি:
caste
বর্ণ ৪
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: √বর্ণ্ (চিহ্নিত করা)
+অ (অচ্),
করণবাচ্য
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি ।
শ্রাব্য-ধ্বনি |
শব্দ |
যান্ত্রিক প্রপঞ্চ |
ভৌত প্রপঞ্চ |
প্রাকৃতিক প্রপঞ্চ |
প্রপঞ্চ |
দৈহিক প্রক্রিয়া ।
দৈহিক সত্তা |
সত্তা |}
অর্থ:
যে কোন সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি স্কেল বা স্বরাষ্টকের ব্যবহারিক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত
হয়, তখন স্বর হিসেবে অভিহিত হয়। যেমন স র গ ম প ধ ন ইত্যাদি। প্রতিটি স্বরের রয়েছে
ধ্বনিরঞ্জক গুণ। যার দ্বারা স্বরের এই রঞ্জকগুণ বিস্তার লাভ করে, তাকে বলা হয় বর্ণ।
এই কারণেই স্বর ও বর্ণের মধ্যে একটি গুণগত পার্থক্য তৈরি হয়। যেমন: স র গ ম প ধ ন -এর
প্রত্যেকটি স্বর, কিন্তু এর আরোহী রূপ প্রকাশ করার সময় আশ যুক্ত হয়ে হয়ে যায় আরোহী
বর্ণ। কারণ স্বরগুলো তার বদ্ধ দশা থেকে মুক্ত হয়ে বর্ণে পরিণত হয়। আবার একাধিক
স্বরের দ্বারা তৈরি হয় সুর। এক্ষেত্রে সুর আর বর্ণ সমার্থক হয়ে যায়।
[দেখুন: বর্ণ (সঙ্গীততত্ত্ব)]
২. তাল
বাদ্যযন্ত্রে ব্যবহৃত নানা ধরনের প্রতীকী শব্দ দ্বারা, বাদ্যযন্ত্রে উৎপন্ন
ধ্বনিকে প্রকাশ করা হয়। যেমন
−
তবলার বর্ণগুলো হলো তা, না, তিন্, কৎ ইত্যাদি।
সূত্র:
- চলন্তিকা। রাজশেখর বসু। এমসি সরকার অ্যান্ড সন্স প্রাইভেট লিঃ।
১৪০৮।
- নাট্যশাস্ত্র (চতুর্থ খণ্ড), ঊনত্রিশ অধ্যায়। ভরত। বঙ্গানুবাদ: সুরেশচন্দ্র
বন্দ্যোপাধ্যায় ও ড: ছন্দা চক্রবর্তী। নবপত্র প্রকাশন। কলকাতা। পঞ্চম মুদ্রণ
ডিসেম্বর ২০১৪।
- বঙ্গীয় শব্দকোষ (প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য
অকাদেমী। ২০০১।
- বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫।
- বাংলা বানান চিন্তা (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। অধ্যাপক পি.
আচার্য। জুলাই ১৯৯৭।
- বাঙ্গালা ভাষার অভিধান (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন
দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০।
- বাঙ্গালা শব্দকোষ। যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি। ভূর্জপত্র।
দোলযাত্রা ১৩৯৭।
- বৃহদ্দেশী। মতঙ্গ। অনুবাদ ও সম্পাদনা রাজ্যেশ্বর মিত্র। প্রকাশক দেবাশীষ
ভট্টাচার্য। কলকাতা পুস্তক মেলা। ১৯৯২
- শব্দবোধ অভিধান। আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
- শব্দসঞ্চয়িতা। ডঃ অসিতকুমার বন্দোপাধ্যায়। নিউ সেন্ট্রাল বুক
এজেন্সি প্রাঃ লিমিটেড। ২৩শে জানুয়ারি, ১৯৯৫।
- শব্দার্থ প্রকাশিকা। কেশবচন্দ্র রায় কর্মকার। দেব সাহিত্য কুটির।
মার্চ ২০০০।
- সংসদ বাংলা অভিধান। সাহিত্য সংসদ। শৈলেন্দ্র বিশ্বাস। মার্চ ২০০২।
- সঙ্গীতরত্নাকর। শার্ঙ্গদেব। সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় অনূদিত।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। কলকাতা। দ্বিতীয় প্রকাশ। ২২ শ্রাবণ ১৪০৮।
- সরল বাঙ্গালা
অভিধান সুবলচন্দ্র
মিত্র।
wordnet 2.1