লিপি
script

 

কোনো ভাষা লিখিত আকারে প্রকাশের জন্য যে সকল চিহ্ন ব্যবহৃত হয়, তার সমষ্টিগত নাম হলো লিপি। ভাষায় ব্যবহৃত বর্ণমালা, যতি চিহ্ন, গাণিতিক প্রতীক এ সব মিলিয়ে একটি লিপিকে বিবেচনা করা হয়। তাই লিপিকে অনেক সময় লিখন পদ্ধতির সমার্থক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূলত যে কোন ভাষার চিত্রময় প্রকাশরীতিই হলো লিখন পদ্ধতি (Writing systems), আর এই পদ্ধতিতে যে সকল চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তা হলো লিপি।

মানুষ বাগযন্ত্র এবং বাগ-প্রত্যঙ্গের সাহায্যে যত ধরনের ধ্বনি সৃষ্টি করে, তার ভিতরে সুনির্দিষ্টভাবে অর্থ প্রকাশ করে এমন ধ্বনিগুলোই হলো একটি ভাষার ক্ষেত্রে শব্দ। এখানে অর্থ মুখ্য বিষয় হলেও
ভাষাভেদে তা অনর্থ ঘটাতে পারে। ধরা যাক থাই ভাষায় একটি শব্দ হলো- স্যাম। এর বাংলা সমার্থ হলো তিন। স্যাম এবং তিন এই দুটি শব্দের অর্থগত মূল্য রয়েছে যথাক্রমে থাই ও বাংলা ভাষায়। কিন্তু স্যাম বাংলাতে অর্থহীন বলে তা বাংলা ভাষার পরিমণ্ডলে অর্থহীন শব্দ। সেক্ষেত্রে শব্দের সংজ্ঞা হবে- একটি সুনির্দিষ্ট ভাষায় ব্যবহৃত সকল অর্থবোধক ধ্বনিই হলো শব্দ। এক্ষেত্রে শব্দটি কে উচ্চারণ করলো, সেটি মুখ্য বিষয় নয়। যদি তিন শব্দটি একজন বাঙালি উচ্চারণ করেন, তা হলে তাকে শব্দ বলবো, আর তোতা পাখি বা কম্পিউটার উচ্চারণ করলে শব্দ বলবো না- তা হতে পারে না। ভাষা মানুষের বাগযন্ত্র এবং বাগ-প্রত্যঙ্গ-জাত বিষয় হলেও, একটি ভাষায় ব্যবহৃত শব্দ যে কোন মাধ্যমে ধ্বনিত হলেই, তাকে উক্ত ভাষার শব্দ হিসাবেই বিবেচনা করা হবে।

গোড়ার দিকে মানুষের মুখে মুখে ভাষা গড়ে উঠছিল, তখন লিখার প্রয়োজন অতটা তীব্রতর ছিল না। কারণ, আদিকালের মানুষের জন্য খাদ্য ও বাসস্থানই ছিল মুখ্য বিষয়। কিন্তু ক্রমান্বয়ে জীবনযাত্রার সাথে সম্পর্কিত আনুষঙ্গিক বহু বিষয় মানুষের কর্মকাণ্ড যুক্ত হতে লাগলো। ফলে মানুষের কাছে তথ্যভাণ্ডার গড়ে উঠতো লাগলো দ্রুত এবং বিপুলাকারে। কিন্তু মানুষের জ্ঞানের প্রধান অন্তরায় হলো
তার ভুলে যাবার প্রবণতা। এই অসুবিধা থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য মানুষ লিখন পদ্ধতির দ্বারস্থ হয়ে পড়েছিল। ধারণা করা হয়, প্রথম দিকে মানুষ সংখ্যাবাচক বিষয়গুলোর সংকেতগুলোর ব্যবহার শিখেছিল। এটা আমরা অক্ষরজ্ঞানহীন আধুনিক মানুষদের ক্ষেত্রেও দেখে থাকি। আমাদের সমাজেও এমন অক্ষরজ্ঞানহীন পরিবারের মানুষরা আর কিছু লিখতে না পারলেও, দিনের বা টাকার হিসাব নিজেদের আবিস্কৃত সংকেতে দেয়ালের গায়ে লিখে রাখে। সংখ্যাবাচক সংকেতের পরে মানুষ আবিষ্কার করেছিল অতি প্রয়োজনীয় কিছু বস্তু বা প্রাণী নির্দেশক সংকেত। এগুলোর সবই ছিল বিশেষ্যপদ। কারণ, বস্তু বা প্রাণীর মতো বিষয়ের সংকেত সৃষ্টি যতটা সহজ, ভাবগত বিষয় সংকেত দ্বারা প্রকাশ করাটা অতটা সহজ নয়। লক্ষ্য করুন, আপনি খুব ভালো চিত্রশিল্পী না হয়েও গরুর ছবিটা আঁকার চেষ্টা করতে পারেন, বিমূর্ত শব্দের (ভালো, মন্দ, সৎ, চিন্তা, কল্পনা ইত্যাদি) ছবির সাহায্যে দেখানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকবেন। এক্ষেত্রে আপনার কাছে মনে হবে একটি অসম্ভব প্রচেষ্টা। আবার এই সকল শব্দের জন্য নিজের মতো করে প্রতীক তৈরি করে নিলেও তা অপরে বুঝবেন কিনা বা অনেক দিন পরে নিজেরই বুঝতে অসুবিধা হবে কিনা, সে প্রশ্ন থেকেই যায়।

মানুষ লেখার চেষ্টা করেছিল কথা বলার শেখার অনেক পরে। কিন্তু তা কতটা পরে তার সময় সম্পর্কে অনুমান করা যায় মাত্র। এমন তো নয় যে, আদিম মানুষ লিখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সভা ডেকে। এবং লিখন পদ্ধতি আবিষ্কারের আগেই লিখন-পদ্ধতির জন্ম তারিখ লিখে রেখেছিল। একই কারণে কোন মানবগোষ্ঠী প্রথম লিখন-পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিল, তাও নির্ধারণ করা যাবে না।

প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় প্রাপ্ত কিছু প্রাচীন লিপি বা পাহাড়ের গায়ে লিখা কিছু চিত্র থেকে আমরা অনুমান করতে পারি যে, অমুক সময়ের কাছাকাছি সময়ে অমুক মানবগোষ্ঠী লিখতে শিখেছিল। কিছু ব্যবহারিক প্রয়োজন এবং কিছু শিল্পচর্চার মধ্য দিয়ে চিত্রের মধ্য দিয়ে মানুষ মনের কথা প্রকাশ করতো। সংখ্যাবাচক চিহ্নের মতো সরল চিহ্ন সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচলিত থাকলেও সঙ্কেতধর্মী অন্যান্য চিহ্নের বিকাশ ঘটেছিল মূলত রাজা ও রাজ-পুরোহিতদের প্রচেষ্টায়। রাজকার্য বা রাজকোষের হিসাবের জন্য এবং পুরোহিতদের ধর্মীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য লিখন চর্চার প্রয়োজন ছিল। রাজা আর পুরোহিতের স্বার্থ রক্ষার জন্য, লিখিত ভাষাকে দেব-ভাষা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সাধারণের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

 

গণন চিহ্নকেই লিখন পদ্ধতির আদি রূপ বলা হয়। মানুষ তার হাতের আঙুলের মাথা গুণে হিসাব রাখতো। প্রাগৈতিহাসিক যুগে ১০ সংখ্যক গণন পদ্ধতি অনুসরণ করতো বটে, কিন্তু গণনচিহ্নে একালের দশমিক পদ্ধতির শূন্য চিহ্ন ছিল না। তারা শুরু করতো ১ থেকে এবং শেষ করতো ১০ সংখ্যা দিয়ে। সবচেয়ে পুরানো গণনচিহ্ন পাওয়া গেছে বেলজিয়ান কঙ্গোতে। কিছু হাড়ের উপর অঙ্কিত এই গণন-অস্থিগুলো আইশ্যাঙ্গো অস্থি (Ishango bone) বলা হয়।

 

বাইবেলের পুরাতন নিয়মের ভাষা ছিল প্রাক্-আরমাইক (Aramaic) ভাষায়। এই ভাষাতে সদাপ্রভু (YHWH=বাংলা যিহূবা) মুসা নবীকে পাথরের উপরে দশটি আজ্ঞা লিখে দিয়েছিলেন। কালক্রমে এই এই ভাষাটি হিব্রু ভাষায় পরিণত হয়। ইহুদিরা মনে করেন যে ঈশ্বর এবং তাঁর পারিষদবর্গ এই ভাষাতে কথা বলতেন। প্রাচীন আক্কাদীয় ভাষার লিখিত রূপ পাওয়া যায় কীলকরূপ (Cuniform) লিখন পদ্ধতিতে। সূর্যদেবতা শামাস হাম্বুরাব্বিকে একটি আইন সংহিতা দিয়েছিলেন, তার লিখিতরূপ সুসার ধ্বাংসাবশেষ থেকে পাওয়া গেছে। মিশরের হাইরোগ্লিফ (Hieroglyph) ভাষাকেও দেব ভাষা হিসাবে বিবেচনা করা হতো। দেবতাদের প্রদেয় ভাষা হিসাবে একে বলা পবিত্র ভাষা। ভারতের সংস্কৃত ভাষা দেবভাষা হিসাবে স্বীকৃত এবং এই ভাষা চর্চার অধিকার নিয়ন্ত্রিত ছিল। সবার চর্চার জন্য মাতৃভাষায় ধর্ম-চর্চার অবাধ স্বাধীনতা থাকলেও ইসলাম ধর্মের কেউ কেউ আরবিকে আল্লাহ্‌র ভাষা মনে করেন।

আধুনিককালের সকল ভাষা এবং এর লিখনরীতি বহুবিবর্তনের মধ্য দিয়ে বর্তমান অবস্থায় এসেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভিতরে বিকশিত সকল ভাষার লিপি ছিল না। আবার যে সকল ভাষার লিপি ছিল, তার সবগুলো এখন আর পাওয়া যায় না। বর্তমানে প্রতি বৎসর পৃথিবী থেকে যেমন অনেক ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে, তেমনি হারিয়ে যাচ্ছে অনেক লিখন-পদ্ধতিও। যেমন বাংলাদেশের পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর ভিতরে চাকমা ভাষাভাষীরা, নিজেদের ভিতরে এখনো তাদের ভাষাটা ব্যবহার করেন বটে, কিন্তু অধিকাংশ চাকমা তাদের লিপি ব্যবহার করতে পারেন না। এছাড়া সিলেটী নাগরী লিপির নমুনা পাওয়া গেলেও, এর ব্যবহার প্রায় নেই বললেও চলে। যদিও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিটি ভাষা এবং এর লিপি বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সকল ভাষা টিকিয়ে রাখা মুস্কিল। যে ভাষা চর্চার ভিতর মানুষ তার জীবিকার সন্ধান সবচেয়ে বেশি পাবে, সে ভাষার প্রতি মানুষ বেশি ঝুঁকবে। তাই বাংলাদেশের চাকমারা বাংলা চর্চায় আগ্রহী হবে এবং বাঙালিরা ইংরেজি চর্চায় বেশি আগ্রহী হবে। তাই দুর্বল আর্থ-সামাজিক শক্তি নিয়ে বহু ভাষাই শেষ পর্যন্ত অন্য ভাষাভাষীর অংশ হয়ে উঠবে। তাই কোনো বিশেষ ভাষাকে বাঁচাতে হলে
সে ভাষার মানুষকে নিজ ভাষার চর্চার ভিতর দিয়ে জীবন-জীবিকার সন্ধান দিতে হবে।

পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষাগোষ্ঠীর মানুষের ক্রমবিবর্তনের ভিতর লুকিয়ে আছে তার জাতিগত বিকাশ তথা সংস্কৃতির ধারা। প্রতিটি ভাষার লিখন পদ্ধতি একটি জাতির সুদীর্ঘ ক্রমবিবর্তনের ধারাকেই ধারণ করে। তাই বলা যেতে পারে
লিখন পদ্ধতির ইতিহাস হলো একটি বিশেষ ভাষাগোষ্ঠীর সার্বিক ইতিহাসের অংশ মাত্র।

লিপি ও লিখন-পদ্ধতির ক্রমবিবর্তনের ধারা
মানুষ যেদিন থেকে তার নিত্য প্রয়োজনীয় কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত তথ্যকে সংরক্ষণের জন্য প্রতীকচিত্র ব্যবহার করতে চেষ্টা করেছিল, মূলত তখন থেকেই লিখন-পদ্ধতির সূচনা হয়েছিল। গোড়া দিকে এই চিহ্নগুলো ছিল পরিবার কেন্দ্রিক। আদিকালের এই পরিবারগুলো একদিকে যেমন অনেক সময় দীর্ঘ কলহের ভিতর দিয়ে কাটিয়েছে, আবার নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য একাধিক পরিবার মিলে শক্তিশালী জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। এই মিশ্র জনগোষ্ঠীর মানুষ নিজেদের ভিতরে যোগাযোগ রক্ষার জন্য একটি সাধারণ ভাষাকে ব্যবহার করতে শিখে গিয়েছিল। একইসাথে দীর্ঘকাল একত্রের থাকার সূত্রে পারিবারিক প্রতীকগুলো একটি জনগোষ্ঠীর ভিতর আন্তঃগোষ্ঠীগত প্রতীকে পরিণত হয়েছিল। কালক্রমে এই প্রতীকই হয়ে উঠেছিল প্রাগ্-লিখন পদ্ধতির উপকরণ।

 

শুরুদিকে মানুষ কিছুবিষয়েক বা সত্তাকে প্রতীকচিত্রে প্রকাশ করতো। এই সূত্রে তৈরি হয়েছিল লোগোগ্রাম

পৃথিবীর বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর ভিতর লেখার প্রাথমিক যে প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়, তাকে কয়েকটি সভ্যতার বিচারে বিবেচনা করা হয়। যেমন
মেসোপটেমিয়া সভ্যতা, মিসরীয় সভ্যতা, চীনা সভ্যতা, ভারতীয় সভ্যতা ইত্যাদি। প্রাগ-লিখন পদ্ধতির ভিতরে আমরা যে সকল লিপিকে বিবেচনা করে থাকি, সেগুলো উদ্ভাবিত হয়েছিল নব্য প্রস্তরযুগ থেকে ব্রোঞ্জযুগের শুরুর সময়কালের ভিতরে। এর সূচনাকাল হিসাবে বিবেচনা করা হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৭ হাজার অব্দ। নিচে এই লিপিগুলোর কালানুক্রমিক তালিকা তুলে ধরা হলো।

যতদূর অনুমান করা যায় খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দীর শেষের দিকে আন্তঃগোষ্ঠীগত প্রতীক ব্যবহারের ভিতর দিয়ে লিখন পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটেছিল। প্রাগ্-লিখন পদ্ধতি ছিল মূলত ভাবলিপিধর্মী (Idographic)। এই ধারায় পরিপুষ্ট হয়ে গোষ্ঠীগত সাধারণ লিখনরীতির মধ্য দিয়ে লিখন ইতিহাসের এই দ্বিতীয় ধাপের সূচনা হয়েছিল। ভাবলিপি এখনও নানাভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

প্রাচীন মানুষের প্রতীক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে লিখন পদ্ধতির সূচনা হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল অত্যন্ত ধীরে ধীরে এবং বিচ্ছিন্নভাবে। মূলত বিষয়ের সাথে সম্পর্ক রেখে আঁকা চিত্রের মধ্য দিয়ে এর বিকাশ শুরু হয়। ৩৫০০ অব্দের দিকে ইউরেশিয়া অঞ্চলের প্রচলিত বর্ণমালাগুলোর বিকাশ ঘটেছিল মিশর ও মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩৪০০- ৩২০০ অব্দের ভিতরে এই অঞ্চলে লিখন পদ্ধতির উদ্ভব ঘটে। গোড়ার দিকে এই লিপিকে চিত্রলিপি (pictograph) নামে অভিহিত করা হয়। এই লিপির আদর্শ নমুনা হলো সুমেরীয় লিপি

 

খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০- ২৮০০ অব্দ পর্যন্ত চিত্রলিপি প্রচলিত ছিল। এই লিখন পদ্ধতিতে প্রত্যক্ষভাবে বিষয়াবলি অনুসারে ছবির ছাপ দেওয়া হতো: কিন্তু কালক্রমে এই চিত্রলিপি প্রতীকধর্মী লিপিতে পরিণত হয়। গোড়ার দিকে এই প্রতীকধর্মী চিহ্নগুলিতে বক্র এবং সরল উভয় ধরনের রেখাই দেখা যায়। কিন্তু সুমের অঞ্চলের কাদার ফলকের উপর নলখাগড়ার কাঠি দিয়ে এই চিত্রলিপিগুলিকে প্রতীকাকারে আঁকার ফলে, প্রতীকী এই চিহ্নগুলো কীলক বা খোঁটার মতো সরল রূপলাভ করেছিল। এই সকল লিপির বাম বা উপরের দিকে ত্রিভুজাকার চিহ্ন লক্ষ্য করা যায়। এরূপ গড়নের কারণে এই লিপিকে কীলকলিপি বলা হয়। কালক্রমে এই বর্ণ আক্কাডিয়ান (Akkadian), এলামাইট (Elamite), হুরিয়ান (Hurrian) ভাষার লিপি হিসাবে গৃহীত হয়েছিল। নিচে উদাহরণ হিসাবে স্যাগ (sag) চিহ্নের (এর অর্থ মাথা) ক্রমবিবর্তন দেখানো হলো।