লোগোগ্রাম
ইংরেজি : Logogram

প্রাচীন লিখন পদ্ধতি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মানুষ প্রথমাবস্থায় কিছু ছবির সাহায্যে একটি শব্দকে প্রকাশ করতে শিখেছিল। লিখার এই প্রাচীন রীতিকে লিপি বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন লোগোগ্রাম। প্রথম দিকে মানুষের কাছে, একটি শব্দই প্রাধান্য পেয়েছিল। শব্দের ধ্বনিগত বিশ্লেষণ অনুসারে সংকেত রচনা করতে হবে, এমন ভাবনা এসেছে অনেক পরে।

প্রথম দিকে মানুষ সংকেত রচনা করতো দৃশ্যমান বিষয়ের এবং এক্ষেত্রে দৃশ্যমান বিষয়টির বাহ্যিক আকার অনুসারে সংকেত রচনার চেষ্টা করা হতো। ফলে, গোড়ার দিকের সংকেতগুলো দেখে অনেক সহজে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যায়। প্রাচীন মিশরের হাইরোগ্লিফ সংকেত হলো এর উৎকৃষ্ট উদাহারণ নমুনাটি লক্ষ্য করুন। এখানে সংকেতগুলো বিষয়বস্তুর কত কাছাকাছি ছিল ।

কালক্রমে মানুষ তার প্রয়োজনের তাগিতে শব্দ-সংকেতের সংখ্যা বাড়িয়ে চলতে লাগলো। এর সাথে যুক্ত হলো ভাব-প্রকাশের জন্য শব্দসংকেত। লিখন পদ্ধতির একটি শব্দকে একটি ছবি দিয়ে দেখানোর পদ্ধতি এতটাই স্বাভাবিক, একটি জাতি অপর জাতির সংস্পর্শে না এসেই নিজেদের মতো করে শব্দ-সংকেত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল। ব্যাপক ভৌগলিক ব্যবধানে এই জাতীয় সংকেতের বিকাশ ঘটেছিল, তার নমুনা কিন্তু আমরা পাই। মিশরের
হাইরোগ্লিফি (Hieroglyph), মেক্সিকো, গুয়েতেমালার মায়া সভ্যতার লিখন পদ্ধতি মায়ান-গ্লিফ (Mayan Glyph), সুমেরিও সভ্যতায় ব্যবহৃত হতো কীলকলিপি এবং চীনে উদ্ভাবিত চীনা-চিত্রলিপি (Chinese Pictogram। ম্যান্ডারিন চীনা এবং জাপানে চিত্রধর্মী যে লোগোগ্রাম ব্যবহার করা হয়, জাপানে তার নাম কাঞ্জি (Kanji)