শ্রাব্য-ধ্বনি
২০ থেকে ২০,০০০ কম্পাঙ্ক সীমার ভিতরে উৎপন্ন শব্দসমূহ, যা মানুষের
গড় শ্রবণ ক্ষমতার দ্বারা অনুভূত হয়।
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{শ্রাব্য-ধ্বনি |
শব্দ |
শব্দলক্ষণ গুণ
| লক্ষণগুণ ।
সত্তাগুণ
বিমূর্তন|
বিমূর্ত-সত|
সত্তা|}
ইংরেজি:
Audible sound
ব্যাখ্যা: যান্ত্রিক প্রপঞ্চের একটি বিশেষ প্রকরণ।
বস্তুর কম্পনে পার্শবর্তী মাধ্যমে যে শক্তি উৎপন্ন হয়, এবং ওই মাধ্যমে তরঙ্গাকারের
ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এক ধরনের যান্ত্রিক প্রপঞ্চের সৃষ্টি হয়। এই যান্ত্রিক প্রপঞ্চে
মূলত শক্তি রূপে বিরাজ করে। মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবহমান এই শক্তি যখন মানুষ তার
শ্রবণেন্দ্রিয়ের মাধ্যমে অনুভব করে তখন তা শ্রাব্য ধ্বনি হিসেবে বিবেচিত হয়।
উল্লেখ্য, মানুষ ২০ থেকে ২০,০০০ কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পারে। তাই এই শ্রবণ-সীমার
মধ্যবর্তী কম্পাঙ্কের শব্দকে শ্রাব্য শব্দ বলা হয়।
শ্রাব্য ধ্বনি তিন ধরনের হয়ে
থাকে।
১. মৌলিক ধ্বনি: একক কম্পাঙ্কের যে কোনো ধ্বনি। যেমন ৪০০, ৫০০, ৫৫০ ইত্যাদি কম্পাঙ্কের যে কোনো একটি
ধ্বনি হলো মৌলিক ধ্বনি।
২.
যৌগিক ধ্বনি:
(Compound sound)
যখন একাধিক কম্পাঙ্কের ধ্বনি একত্রিত হয়ে এমন একটি মিশ্র
রূপ তৈরি করে, যা মানুষ একটি ধ্বনি হিসেবে অনুভব করে।
৩. মিশ্র ধ্বনি: যখন একাধিক মৌলিক বা যৌগিক ধ্বনি একই সময় ধ্বনিত হয় এবং
ধ্বনিগুলো মানুষ আলাদা আলাদাভাবে শনাক্ত করতে পারে।
শ্রাব্য-ধ্বনির প্রকৃতি নির্ধারিত হয় মানুষের অনুভূতির বিচারে। ধ্বনি বা শব্দের
রয়েছে দৈহিক সত্তা। কিন্তু এর অনুভবের বিষয়টি ঘটে বিমূর্ত সত্তা হিসেবে। তাই
শ্রবণ বিমূর্ত কিন্তু শ্রাব্য ধ্বনি মূর্ত। অনুভূতির বিচারে আমরা শব্দকে নানাভাবে
চিহ্নিত করে থাকি। যেমন-
সঙ্গীতোপযোগী ধ্বনি
(Musical):
সঙ্গীতের উপযোগী শ্রাব্য-ধ্বনি।