ক-আদি গণ
গণের নাম:
স্বরান্ত।

পূর্ববর্তী উল্লেখযোগ্য গ্রন্থে গৃহীত গণ বিভাজন

১. রাজশেখর বসু 'চলন্তিকা' নামক অভিধানে  '৬। কহ-আদি গণ। (বানান-বহ)'-এর অধীনে চলতি রূপে এই ক্রিয়ামূলগুলি গ্রহণ করা হয়েছে।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় 'ভাষা-প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ' গ্রন্থে গণে গৃহীত হয়েছে।
. ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর 'বাঙ্গালা ব্যাকরণ' অনুসারে এই গণের নাম- কহ-আদি (গণ সংখ্যা-৭)। এর সদস্য ক্রিয়ামূলগুলি হলো
Öকহ, Öহ, Öহ, Ö ইত্যাদি। দেখুন : কহ-আদি গণ

আমার মতে কহ এবং ক দুটি ভিন্ন প্রকৃতির গণ হিসাবে বিবেচনা করা উচিৎ । নিচের এর সাধারণ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো।

প্রমিত গণ-প্রকৃতি

১. এই গণের ক্রিয়ামূলগুলি স্বরান্ত
২. একটি মাত্র ব্যঞ্জন থাকবে। যেমন- ক, ব, র ইত্যাদি।
৩. দুই বর্ণের ক্রিয়ামূলের শেষের 'হ' ধ্বনি লোপ পাবে। যেমন : কহ>ক, বহ>ব, রহ>র ইত্যাদি।
৪. এর হ-যুক্ত রূপটি সাধুরূপে এবং হ-বিহীন রূপটি চলতি রূপে ব্যবহৃত হবে।
৫. এই জাতীয় ক্রিয়ামূল থেকে শুধু চলিত রীতির ক্রিয়াপদ তৈরি হয়।
৫.
এই গণের ক্রিয়ামূলগুল হলো- কহ> | দহ্>Ö  | বহ> Ö | রহ> Ö | হ>Ö | হ>Ö

এই গণের ক্রিয়ামূল থেকে যে সূত্রে ক্রিয়াপদগুলি উৎপন্ন হয়, তার তালিকা নিচে তুলে ধরা হল।
 

চলিত রূপ 
কালের নাম নাম পুরুষ মধ্যম উত্তম
সাধারণ
(সে)
সম্ভ্রমাত্মক
(তিনি)
সম্ভ্রমাত্মক
(আপনি)
সাধারণ
(তুমি)
তুচ্ছ
(তুই)
আমি
বর্তমান সাধারণ
ঘটমান  ইছে,  চ্ছে  ইছেন,  চ্ছেন  ইছেন,  চ্ছেন  ইছ,  চ্ছ  ইছিস,  চ্ছিস  ইছি,  চ্ছি
পুরাঘটিত  য়েছে  য়েছেন  য়েছেন  য়েছ  য়েছিস  য়েছি
অনুজ্ঞা  উক  উন  উন  ও    
অতীত সাধারণ  ইল  ইলেন  ইলেন  ইলে  ইলি  ইলাম
নিত্যবৃত্ত  ইত  ইতেন  ইতেন  ইতে  ইতি  ইতাম
ঘটমান  ইতেছিল,  চ্ছিলি  ইতেছিলেন,  চ্ছিলেন  ইতেছিলেন,  চ্ছিলেন  ইতেছিলে,  চ্ছিলে  ইতেছিলি,  চ্ছিলি  ইতেছিলাম,  চ্ছিলাম
পুরাঘটিত  য়েছিল  য়েছিলেন  য়েছিলেন  য়েছিলে  য়েছিলি  য়েছিলাম,  ইয়াছিলম
ভবিষ্যৎ সাধারণ  ইবে,  বে  ইবেন,  বেন  ইবেন,  বেন  ইবে,  বে  ইবি,  বি  ইব,  ইবো,  ব,  বো
ঘটমান  ইতে থাকবে  তে থাকবেন  তে থাকবেন  তে থাকবে তে থাকবি তে থাকব
পুরাঘটিত য়ে থাকবে য়ে থাকবেন য়ে থাকবেন য়ে থাকবে য়ে থাকবি য়ে থাকব, ইয়া থাকব
অনুজ্ঞা  ইবে,  বে  ইবেন,  বেন  ইবেন,  বেন  ইও,  য়ো    

অসমাপিকা ক্রিয়া :          চলিত রীতি :   ইতে, ইলে,  ইয়া,  য়ে