ক্রিয়ামূল
সংস্কৃত Öকথ্ (বলা)>বাংলা Öকহ্>বাংলা Ö
এই ক্রিয়ামূলের ভাবগত অর্থ হলো- বলা বা কথা বলা এই ক্রিয়ামূল থেকে উৎপন্ন সকর্মক ক্রিয়াপদ বাংলাতে ব্যবহৃত হয়

গণ:
ক-আদি গণ  স্বরান্ত, অ-অন্ত, অসম্পূর্ণ

আধুনিক বাংলায় এর সমার্থ ক্রিয়াপদ ব্যবহৃত হয়ে থাকে যথাক্রমে- বলত, বলতেন, বলতে, বলতি, বলতাম এক্ষেত্রেও আদ্য-অ ধ্বনি ও ধ্বনিতে পরিণত হয় এসব অঞ্চলে কতেন, কতে, কতি, কতাম ইত্যাদির মত ক্রিয়াপদের ভিন্ন প্রকরণ লক্ষ্য করা যায়। যেমন-  কতেন/কইতেন, কতে/কইতে, কতি/কইতি, কতাম/কইতাম। আমাদের সহজাত ধারণা থেকে মনে হয় কইতেন, কইতে ইত্যাদির মত ক্রিয়াপদগুলি সাধুরীতির। মূলত এগুলো চলতি রীতিরই প্রকরণ বিশেষ। নিতান্তই কথ্য রূপে কথিত হয়ে থাকে বলে- এর সাধু রূপ ব্যবহৃত হয় না। চলতি রীতিতে Öক ধাতুজাত ক্রিয়াপদের ব্যবহার লক্ষ্য করা গেলেও, প্রকৃষ্ট সাধু রীতির ক্রিয়াপদ তৈরি হয়ে থাকে Öকহ্ ধাতু থেকে তারপরেও Öক ধাতুজাত ক্রিয়াপদের ব্যবহার একেবারে বিরল নয় বিশেষ করে বাংলাদেশের বৃহত্তর পাবনা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া  ইত্যাদি অঞ্চলে এই ধাতুজাত ক্রিয়াপদের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় এই ক্রিয়ামূলজাত ক্রিয়াপদ বাংলাতে ব্যবহৃত হয়।

চলিত রূপ 
কালের নাম নাম পুরুষ মধ্যম উত্তম
সাধারণ
(সে)
সম্ভ্রমাত্মক
(তিনি)
সম্ভ্রমাত্মক
(আপনি)
সাধারণ
(তুমি)
তুচ্ছ
(তুই)
আমি
বর্তমান সাধারণ কয় কন কন কও কই
ঘটমান কইছে, কচ্ছে কইছেন, কচ্ছেন কইছেন, কচ্ছেন কইছ, কচ্ছ কইছিস, কচ্ছিস কইছি, কচ্ছি
পুরাঘটিত কয়েছে কয়েছেন কয়েছেন কয়েছ কয়েছিস কয়েছি
অনুজ্ঞা কউ কউন কউন কও  
অতীত সাধারণ কইল কইলেন কইলেন কইলে কইলি কইলাম
নিত্যবৃত্ত কইত কইতেন কইতেন কইতে কইতি কইতাম
ঘটমান কইতেছিল, কচ্ছিলি কইতেছিলেন, কচ্ছিলেন কইতেছিলেন, কচ্ছিলেন কইতেছিলে, কচ্ছিলে কইতেছিলি, কচ্ছিলি কইতেছিলাম, কচ্ছিলাম
পুরাঘটিত য়েছিল কয়েছিলেন কয়েছিলেন কয়েছিলে কয়েছিলি কয়েছিলাম, কইয়াছিলম
ভবিষ্যৎ সাধারণ কইবে, কবে কইবেন, কবেন কইবেন, কবেন কইবে, কবে কইবি, কবি কইব, কইবো, কব, কবো
ঘটমান কইতে থাকবে তে থাকবেন তে থাকবেন তে থাকবে তে থাকবি তে থাকব
পুরাঘটিত ইয়া থাকবে
কয়ে থাকবে
ইয়া থাকবে
কয়ে থাকবেন
ইয়া থাকবে
কয়ে থাকবেন
ইয়া থাকবে
কয়ে থাকবে
ইয়া থাকবি
কয়ে থাকবি
কয়ে থাকব, কইয়া থাকব
অনুজ্ঞা কইবে, বে কইবেন, কবেন কইবেন, কবেন কইও, য়ো  

অসমাপিকা ক্রিয়া :          চলিত রীতি :  কইতে,কইলে, কইয়া, কয়ে


সূত্র :