মাদারিপুর সমিতি
ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবের জন্য গঠিত সংগঠন।
১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে
ভারতবর্ষের স্বাধীনতা
অর্জনের জন্য তৎকালীন বাংলাদেশের
মাদারীপুরে এই সংগঠনটি গড়ে উঠেছিল। এর প্রধান উদ্যোক্তা
ছিলেন-
পূর্ণচন্দ্র দাস।
প্রাথমিক পর্যয়ে
পূর্ণচন্দ্র দাস
ছাড়া এই দলে ছিলেন, বিনোদ দাস, বামন চক্রবর্তী, পঞ্চানন চক্রবর্তী,
চিত্তপ্রিয় রায় চৌধুরী, নীরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত, মনোরঞ্জন সেনগুপ্ত , রাধাচরণ
প্রমাণিক, কালীপ্রাদ প্রমুখ।
১৯১২খ্রিষ্টাব্দে মাদারিপুর সমিতি পাঁচটি বড় বড় গেরিলা যুদ্ধ সংগঠিত করে।
১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে ফরিদপুর ষড়যন্ত্র মামলায় পূর্ণচন্দ্রসহ
এই সমিতির প্রায় সকল সদস্যর
গ্রেপ্তার হন এবং পাঁচ মাস জেল খাটেন। প্রায় সদস্যরা গ্রেপ্তার হন এবং পাঁচ মাস জেল খাটেন।
এই সময় এই সমিতির কার্যক্রমে কিছুটা ভাটা পড়ে।
১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে
পূর্ণচন্দ্র দাস
জেল থেকে মুক্তি পেয়ে কলকাতায় যান এবং
যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (বাঘ যতীন)-এর সাথে পরিচিত
হন। পরে ধীরে ধীরে
বাঘ যতীনে ঘনিষ্ঠ সহচরে পরিণত হন। ১৯১৪
খ্রিষ্টাব্দে ভারত-রক্ষা আইনে ধৃত হন এবং ১৯২৩
খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে মুক্তি পান। ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৯ই সেপ্টেম্বর উড়িষ্যর বালেশ্বর জেলায়
বুড়িবালাম নদীর তীরে ইংরেজ বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে
বাঘ যতীন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
বাঘ যতীনের মৃত্যুতে
পূর্ণচন্দ্র দাশ হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। এই সময়ের ভিতরে
মাদারীপুর সমিতির কার্যক্রম ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে পড়ে এবং এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে
যায়।