নার্মার ফলকের উভয় পাশে উৎকীর্ণ হাইরোগ্লিফ।
মিশরের কায়রো যাদুঘরের প্রবেশ মুখেই এই হাইরোগ্লিফ রয়েছে।

নার্মার ফলক
Narmer Palette

মিশরের
হাইরোগ্লিফ লিখন পদ্ধতির আদ্যরূপ সংবলিত ফলক বিশেষ। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে এই ফলকের বয়স খ্রিষ্টপূর্ব ৩১শ শতক।

 

এই ফলকের একটি পাশে উৎকীর্ণ চিত্রে দেখা যায়, রাজার মাথায় রয়েছে লম্বা কন্দাকার মুকুট। এই ধরনের মুকুট পরতেন দক্ষিণ মিশরের (ঊর্দধ্ব মিশর) রাজা। আবার এই ফলকের অপর পাশে উৎকীর্ণ চিত্রে  দেখা যায়, রাজার মাথার রয়েছে লাল মুকুট। এই ধরনের মুকুট পরতেন উত্তর মিশরের (নিম্ন মিশর) রাজা। ধারণা করা হয়, এই মুকুট তৈরির সময় মিশরের রাজা ছিলেন নার্মার এবং তিনি উত্তর ও দক্ষিণ মিশরকে একত্রিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এবং সম্ভবত সেই সময় এই ফলকটি তৈরি হয়েছিল। রাজা নার্মার এর নামানুসারেই এই ফলকের নামকরণ করা হয়েছে।

১৮৯৭-১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দের ভিতর, মিশরের নেখেন অঞ্চলের হোরাসের মন্দির নামে খ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক ক্ষেত্রে এই ফলকটি পাওয়া গেছে। ফলকটি মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করেছিলেন ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক জেমস ই কুইবেল এবং ফ্রেড্রিক ডব্লিউ গ্রিন। উল্লেখ্য নেখেন ছিল দক্ষিণ মিশরের (ঊর্দধ্ব মিশর) রাজধানী। হারাকোনপোলিস অঞ্চলে এগুলো পাওয়া গিয়েছিল। এই কারণে অনেক সময় এগুলোকে
Great Hierakonpolis Palette বলা হয়।

 

এই ফলকটির উচ্চতা ৬৩ সেন্টিমিটার (২.০৭ ফুট)। এর আকার অনেকটা ঢালের মতো। ধূসর-সবুজ বর্ণের সিল্টস্টোন মসৃণ করে, তারপর তা খোদিত করে চিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ফলকটির উভয় পাশেই বেশ কুশলতার সাথে ছবিগুলো উৎকীর্ণ করা হয়েছে। ফলে একধরনের রিলিফ চিত্রের সৃষ্ট হয়েছে। লিপি গবেষকদের মতে, এই ফলকের গায়ে উৎকীর্ণ হাইরোগ্লিফ-ই মিশরের হাইরোগ্লিফ লিখন পদ্ধতির আদি রূপ।



সূত্র :

https://en.wikipedia.org/wiki/Narmer_Palette