লিপিকোষ সূচি
ঐ-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই ব্রাহ্মীলিপি থেকে ঐ-বর্ণটি উদ্ভূত হয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে এর একটি মাত্র নমুনা পাওয়া যায়। ওই নমুনা অনুসারে দেখা যায় ব্রাহ্মীলিপিতে এই বর্ণটি ছিল অনেকটা ত্রিভুজের মতো। এর শীর্ষ বিন্দু থেকে একটি ছোট রেখা ভূমির সমান্তরালে বাম দিকে যুক্ত ছিল। নিচের ছকে এর নমুনা দেখানো হলো।
পরবর্তী কুষাণলিপি ও গুপ্তলিপিতে এর কোন নমুনা পাওয়া যায় নাই। খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ-নবম শতাব্দীতে প্রাপ্ত কুটিললিপিতে দেখা যায় ব্রাহ্মীলিপির ত্রিভুজের বাম প্রান্ত বেশ অনেকটা উপরে উঠে গিয়েছে এবং এর উপরের রেখাটি ঢেউ খেলানো রূপ নিয়েছে। খ্রিষ্টীয় ১০ম-১১শ শতকে এই বর্ণটি আধুনিক ঐ বর্ণে পরিণত হয়েছিল। নিচে কুটিললিপি থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত ঐ-বর্ণের বিবর্তন দেখানো হলো।
|
|
তথ্যসূত্র:
১. প্রাচীন ভারতীয় লিপিমালা।গৌরীশঙ্কর ওঝা। অনুবাদ ও সম্পাদনা :
মনীন্দ্র নাথ সমাজদার। বাংলা একাডেমী ঢাকা। আষাঢ় ১৩৯৬, জুন ১৯৮৯।
২. বাঙালা লিপির উৎস ও বিকাশের অজানা ইতিহাস। এস,এম. লুৎফর
রহমান। বাংলা একাডেমী ঢাকা। ফাল্গুন ১৪১১, মার্চ ২০০৫।
৩. বর্ণমালার উদ্ভববিকাশ ও লিপিসভ্যতার ইতিবৃত্ত। দেওয়ান গোলাম
মোর্তজা। বাংলা একাডেমী ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ্য ১৪১০, মে ২০০৩।
৪. সংস্কৃত বর্ণমালার ইতিহাস। রবীন্দ্রনাৎ ঘোষঠাকুর। বাংলা
একাডেমী ঢাকা। কার্তিক ১৩৮৫, নভেম্বরে ১৯৭৮।