আস্তীক
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে, জনৈক
ঋষি।
জরৎকারু
নামক ঋষির ঔরসে
নাগ বংশীয় কন্যা জরৎকারুর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন।
মাতৃগর্ভে থাকার সময়,
পিতা
জরৎকারু
পত্নীকে ত্যাগ করেন।
এই সময় এঁর মা সন্তান
লাভের প্রার্থনার করলে,
জরৎকারু বলেন অস্তি, অর্থাৎ
আমার ঔরসে তোমার গর্ভসঞ্চার হয়েছে বলেন।
এই অস্তি শব্দ থেকেই এই
পুত্রের নাম রাখা হয়েছিল আস্তীক।
বড় হয়ে আস্তীক চ্যবনের
কাছে বেদ-বেদাঙ্গ অধ্যায়ন করেন।
পরে তাঁরই প্রচেষ্টায়
কর্তৃক অর্ধপথে পরিত্যক্ত হয়েছিল।
ফলে,
তক্ষকসহ বহু সাপ যজ্ঞ
থেকে রক্ষা পেয়েছিল।
[সূত্র: মহাভারত। আদিপর্ব। সপ্তচত্বারিংশ অধ্যায়]
মূলত
জনমেজয়
কর্তৃক সর্পনিধন যজ্ঞ থেকে রক্ষা করার জন্য আস্তীকের জন্ম হয়েছিল। তাই
জনমেজয়
যখন সর্পনিধন যজ্ঞ শুরু
করেন, তখন অগণিত নাগরা এই যজ্ঞের অগ্নিকুণ্ডে নিহত হতে থাকে। এই অবস্থায়
অনন্তনাগ তাঁর
বোন
জরৎকারুকে
এই সর্পসত্র থামানোর জন্য, আস্তীককে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন। এরপর
জরৎকারু
আস্তীককে দেকে সকল ঘটনা বলেন
এবং
জনমেজয়-এর
সর্পসত্র যাওয়ার আদেশ করেন।
মায়ের আদেশে আস্তীক
জনমেজয়েরের
সর্পসত্র যজ্ঞস্থলে আসেন। তিনি প্রথমে প্রশংসার দ্বারা রাজা
জনমেজয়-এবং
যজ্ঞে উপস্থিত সকলকে প্রসন্ন করেন। জনমেজেয় অত্যন্ত খুশি হয়ে, তাঁকে বর প্রার্থনা
করতে বলেন।