ভূরিশ্রবা
হিন্দু
পৌরাণিক কাহিনি মতে–
ইনি ছিলেন কুরুবংশীয় রাজা
সোমদত্তের পুত্র।
উল্লেখ্য,
দেবকীকে তাঁর
স্বয়ংবরা-সভা থেকে শিনি অপহরণের চেষ্টা করলে,
সোমদত্ত তাঁকে
বাধা দেন।
পরে
শিনি
তাঁকে পরাজিত করে পদাঘাত করেন।
এই অপমানের প্রতিশোধের জন্য
সোমদত্ত
মহাদেবের
আরাধনা শুরু করেন।
সোমদত্তের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে
মহাদেব
বর দেন যে, তাঁর ঔরসে যে পুত্র জন্মগ্রহণ করেব, সে
শিনি
ও শিনির পৌত্র
সত্যাকিকে
যুদ্ধে পরাজিত করে সর্ব-সমক্ষে পদাঘাত করবে।
এর কিছুদিন পর
মহাদেবের
বরে ভূরিশ্রবার জন্ম হয়।
কুরুক্ষেত্রের
যুদ্ধে ভূরিশ্রবা
সত্যাকির দশ পুত্রকে হত্যা করেন।
যুদ্ধের চতুর্দশ দিনে তিনি
সত্যাকিকে
পরাস্ত করে ভূপাতিত করেন এবং তাঁকে পদাঘাত করে
মুণ্ডচ্ছেদ করতে উদ্যত হন।
এই সময়
অর্জুন
যুদ্ধের নিয়ম ভঙ্গ করে দূর থেকে তীক্ষ্ণ বাণ দ্বারা ভূরিশ্রবার ডান
হাত ছেদন করেন।
ভূরিশ্রবা
অর্জুনকে তিরস্কার করে বাম হাতে শর বিছিয়ে প্রয়োপবেশনে বসেন।
এই সময়
সত্যাকি
চেতনা লাভ করে, সকলের নিষেধ সত্ত্বেও যোগমগ্ন ভূরিশ্রবার শিরশ্ছেদ
করেন।