মহাদেব
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
|
হিন্দু
দেবতা
|
দেবতা
|
দৈবসত্তা
|
অতিপ্রাকৃতিক সত্তা
|
বিশ্বাস
|
প্রজ্ঞা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
এর অপরাপর নাম : অ, অকুল, অক্ষত, অক্ষমালী, অক্ষোভ্য, অগ্নিশেখর, অঘোর, অতিদেব, অদ্ভুতস্বন, অদ্রিনাথ, অদ্রিপতি, অদ্রিশ, অদ্রীশ, অনঙ্গারি, অনীশ, অন্ধকঘাতী, অন্ধকরিপু অন্ধকান্তক, অন্ধকারি, অবিমুক্তেশ্বর, অব্জবাহন, অব্যক্ত, অব্যয়, অভিরূপ, অমরাধিপ, অমর্রে, অমূর্ত, অমোঘ, অম্বরীষ, অম্বিকনাথ, অম্বিকাপতি, অযুগনয়ন, অযুগনেত্র, অযোনিজ, অযুগ্মনয়ন, অযুগ্মনেত্র, অযুগ্মলোচন, অযোনি, অর্ধনারীশ, অর্ধনারীশ্বর, অর্ধমৌলি, অর্ধেন্দুমৌলি, অর্ধেন্দুশেখর, অষ্টমূর্তিধর, অসমনয়ন, অসমনেত্র, অসমলোচন, অস্থিধন্না, অস্থিমালী, অহিভূষণ, আদিদেব, আশুতোষ, ইন্দুভূষণ, ইন্দুভৃৎ, ইন্দুমৌলি, ঈশান, উমাপতি, উমাসহায়, উমেশ, উরগভূষণ, একনাথ, কঙ্কালমালী, কণ্ঠনীলক, কণ্ঠেকাল, কন্দর্পজয়ী, কন্দর্পমথন, কন্দুকেশ্বর, কপর্দী, কপালভৃৎ, কপালমালী, কপালী, কপিশাঞ্জন, কপোতেশ্বর, কলাধর, কলাভৃৎ, কাপালী, কামারি, কালকণ্ঠ, কালনাথ, কালনিধি, কালঞ্জর, কালরুদ্র, কাশীনাথ, কাশীশ, কাশীশ্বর, কাশীপতি, কুলেশ্বর, কৃতজ্বর, কৃত্তিবাস, কৃশানুরেতাঃ, কেদার, কেদারনাথ, কেদারেশ্বর, কৈলাসনাথ, কৈলাসপতি, কৈলাসেশ্বর, খকুন্তল, খণ্ডপরশু, গঙ্গাধর, গজারি, গণনাথ, গণভর্তা, গিরিজানাথ, গিরিজাপতি, গিরিশ, গিরীশ, গুড়াকেশ, চন্দ্রচূড়, চন্দ্রপীড়, চন্দ্রবর, চন্দ্রমৌলি, চন্দ্রশেখর, চন্দ্রিল, চন্দ্রেশ্বর, চেকিতান, জটাটঙ্ক, জটাধর, জটাধারী, জয়ন্ত, জ্বালী, গৌরীকান্ত, গৌরীনাথ, তারকনাথ, তারকেশ্বর, ত্রিনয়ন, ত্রিনাথ, ত্রিনেত্র, ত্রিপুরঘ্ন, ত্রিপুরান্তক, ত্রিপুরারি, ত্রিলোকেশ, ত্রিলোচন, ত্রিশূলধারী, ত্রিশূলী, ত্র্যক্ষ, ত্র্যম্বক, দিগম্বর, দিগ্বসন, দিগ্বস্ত্র, দিগ্বাস, দুর্গাধীশ, দুর্গাপতি, দুর্গেশ, দেবাদিদেব, দেবেশ, ধূর্জটি, নটরাজ, নটশেখর, নটেশ্বর, নিরঞ্জন, নীলকণ্ঠ, নীলগ্রীব, নীললোহিত, পঞ্চমুখ, পঞ্চানন, পরমেষ্ঠী, পরান্তক, পশুপতি, পিঙ্গজট, পিনাকপাণি, পিনাকী, পিনাকেশ, পুরঞ্জিৎ, পুরভিদ, পুরমথন, পুরারি, পুরহর, প্রমথেশ, বভ্রূ, বহ্নিরেতাঃ, বিভূ, বিভূতিভূষণ, বিরূপাক্ষ, বিশালাক্ষ, বিশ্বনাথ, বিশ্বেশ্বর, বিষকণ্ঠ, বিষমাক্ষ, বীরেশ্বর, বৃষধ্বজ, বৃষবাহন, ব্যোমকেশ, ভগালী, ভবানীপতি, ভবেশ, ভর্গ, ভালচন্দ্র, ভূতনাথ, ভূতপতি, ভূতভাবন, ভূতেশ, ভৈরব, ভোলা, ভোলানাথ, বহ্নিরেতাঃ, বাণদেব, বাণেশ্বর, বামদেব, বিরূপাক্ষ, বীরেশ্বর, মহাকাল, মহাদেব, মহানট, মহারুদ্র, মহেশ, মহেশান, মহেশ্বর, মারজিৎ, মৃগাঙ্গমৌলি, মৃগাঙ্গশেখর, মৃত্যুঞ্জয়, যজ্ঞেশ্বর, যজ্ঞারি, যমান্তক, যোগধারী, যোগীন্দ্র, যোগীশ, যোগীশ্বর, যোগেশ, যোগেশ্বর, রুদ্র, লোকনাথ, শঙ্কর, শম্ভু, শশীভূষণ, শশীভৃৎ, শশীশেখর, শিব, শূলপাণি, শূলী, শ্যামাধর, শ্রীকণ্ঠ, সতীন্দ্র, সতীপতি, সতীশ, সদাশিব, সনাতন, সর্বেশ্বর, সিতিকণ্ঠ, সিদ্ধদেব, সুরেশ্বর, সোমনাথ, সোমেশ্বর, স্মরজিৎ, স্মরারি, হ, হর, হিরণ্যরেতাঃ।
খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ অব্দের দিকে খোদিত সিন্ধু-সভ্যতার মহেঞ্জোদারো প্রাপ্ত ষাঁড়ের শিং-যুক্ত দেবতা। |
এরপর মহাদেব সতীর শোকে তাঁর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে তাণ্ডবনৃত্য শুরু করেন। এর ফলে সৃষ্টি ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হলে, বিষ্ণু তাঁর চক্র দ্বারা সতীদেহকে একান্নভাগে বিভক্ত করে দেন। এই একান্নটি খণ্ড ভারতের বিভিন্নস্থানে পতিত হয়। ফলে পতিত প্রতিটি খণ্ড থেকে এক একটি মহাপীঠ উৎপন্ন হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রতিটি মহাপীঠকে পবিত্র তীর্থস্থান হিসাবে বিবেচনা করে থাকেন।
সতীর দেহাংশ যে সকল স্থানে পতিত হয়েছিল, মহাদেব সেখানে লিঙ্গরূপে অধিষ্ঠিত হলেন। বিশেষ করে সতীর মস্তিষ্ক পতিতস্থানে মহাদেব শোকাহত অবস্থায় উপবেশন করেন। এই সময় দেবতারা সেখানে উপস্থিত হলে- মহাদেব লজ্জায় প্রস্তর-লিঙ্গে পরিণত হন। পরে দেবতারা এই লিঙ্গরূপী মহাদেবকে পূজা করতে থাকেন। হিন্দু পুরাণে মহাদেবের এই লিঙ্গপ্রতীক শিবলিঙ্গ নামে পরিচিত।
কথিত আছে- দেবতাদের জয় করার জন্য তারকাসুর এক হাজার বৎসর তপস্যা করেন। কিন্তু তিনি এর ফলে কোন বর লাভে ব্যর্থ হলেও- তাঁর মাথা থেকে এক ধরণের তেজ নিসৃত হতে থাকে। এই তেজ দেবতাদের দগ্ধ করতে থাকলে- দেবতারা ব্রহ্মার শরাণাপন্ন হন। তখন ব্রহ্মা তারকাসুরের কাছে এসে বর প্রার্থনা করতে অনুরোধ করেন। তারকাসুর ব্রহ্মার কাছে দুটি বর প্রার্থনা করেন। বর দুটি হলো- তাঁর চেয়ে শক্তিশালী আর কেউ জন্মগ্রহণ করবে না এবং মহাদেবের ঔরসজাত পুত্রের হাতেই তাঁর মৃত্যু হবে। পরে মহাদেবের পুত্র কার্তিকেয় এই অসুরকে হত্যা করতে সমর্থ হয়েছিলেন। এরপর তারকাসুরের তিন পুত্র- তারকাক্ষ, কমলাক্ষ ও বিদ্যুন্মালীকে হত্যা করে ত্রিপুরারি নামে পরিচিত হন।
কার্তিকেয়-এর জন্মবৃত্তান্তের সাথে মহাদেবের সাথে পার্বতীর বিবাহঘটিত একটি উপখ্যান আছে। শ্রীমদ্ভাগবত ও ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের মতে- সতী দেহত্যাগের পর হিমালয়ের কন্যা পার্বতীরূপে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। ইনি মহাদেবকে পতিরূপে পাওয়ার জন্য তপস্যা শুরু করেন। এই সময় মহাদেব গভীর তপস্যায় মগ্ন ছিলেন। পার্বতী সে কথা জানতে পেরে প্রতিদিন তাঁর পূজা করতে থাকেন। এদিকে তারকাসুর নামক এক অসুর ব্রহ্মার বরে বলীয়ান হয়ে, দেবতাদের উপর পীড়ন শুরু করলে— দেবতারা ব্রহ্মার শরণাপন্ন হন। ব্রহ্মা দেবতাদের জানান যে, শুধু মাত্র মহাদেবের ঔরসজাত সন্তানই এই অসুরকে হত্যা করতে পারবেন। মহাদেবের ধ্যানভঙ্গের জন্য, অন্যান্য দেবতাদের অনুরোধে কামদেব হিমালয়ে গিয়ে তাঁর কন্দর্প বাণ নিক্ষেপ করেন। ফলে মহাদেবের ধ্যান ভঙ্গ হয়। এতে মহাদেব ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর তৃতীয় নয়ন উন্মোচিত করে কামকে ভস্মীভূত করেন। এরপরে মহাদেব অনুতপ্ত হয়ে— কামদেবকে প্রদ্যুম্নরূপে জন্মগ্রহণ করতে বলেন। মহাদেবের তৃতীয় নেত্রে ভস্মীভূত হয়ে ইনি অঙ্গহীন হয়েছিলেন বলে- এর অপর নাম অনঙ্গ।
তারকাসুরকে হত্যা করার জন্য একটি পুত্র উৎপাদনের লক্ষ্যে, মহাদেব পার্বতীর সাথে মিলিত হন। কিন্তু মহাদেবের বীর্য গ্রহণে পার্বতী অসমর্থা দেখে তিনি তা, অগ্নিতে নিক্ষেপ করেছিলেন। অগ্নিও উক্ত বীর্য গ্রহণে অক্ষম ছিলেন বিধায় তা গঙ্গায় নিক্ষেপ করেছিলেন। গঙ্গা আবার তা শরবনে নিক্ষেপ করলে একটি সুদর্শন বালকের সৃষ্টি হয়। মহাদেব তাঁর বীর্য অগ্নিতে নিক্ষেপ করেছিলেন বলে- এই বালকের নাম অগ্নিভু রাখা হয়। কৃত্তিকারা এই বালককে স্তন্যদানে প্রতিপালন করেন। কৃত্তিকাদের স্তনদানের কারণে ইনি তাঁদের পুত্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন এবং সেই সূত্রে ইনি কার্তিকেয় নামে অভিহিত হয়ে থাকেন। পরে পার্বতী বিষয়টি অবগত হয়ে কার্তিকেয়কে তাঁর কাছে নিয়ে যান।
তাঁর তৃতীয় নয়নের উৎপত্তি নিয়ে একটি গল্প আছে। পার্বতী একবার পরিহাসছলে শিবের দুই চোখ হাত দিয়ে আবৃত করলে- সমগ্র চরাচর অন্ধকার হয়ে যায়। জগতকে আলোকিত করার জন্য তাঁর তৃতীয় নয়নের উদ্ভব ঘটে। এই তৃতীয় নয়নের জ্যোতিতে হিমালয় ধ্বংস হয়ে গেলে- পার্বতীর অনুরোধে তা আবার পুনস্থাপিত হয়। তবে এটি প্রক্ষিপ্ত কাহিনী বলেই মনে হয়। কারণ- পার্বতীর সাথে শিবের বিবাহের পূর্বেই তাঁর তৃতীয় নয়নের তেজে কামদেব ভস্মীভূত হন।
ইনি তাঁর স্ত্রী পার্বতী সহযোগে উত্তেজক নৃত্য পরিবেশন করলে তাকে তাণ্ডবনৃত্য বলা হয়। অন্য মতে-বিশ্ব ধ্বংসের সময় ইনি যে নৃত্য করে থাকেন তাই তাণ্ডবনৃত্য। ইনি গজাসুর ও কালাসুরকে হত্যা করার পর তাণ্ডবনৃত্য করেছিলেন। ইনি নৃত্যকলার আদি কারণ বলে- নটরাজ নামে খ্যাত।
অন্ধক নামক দৈত্যকে নারদ কৌশলে মন্দর পর্বতে নিয়ে যান। সেখানে মহাদেব পার্বতীর সাথে আমোদ-প্রমোদে রত ছিলেন। অন্ধক সেখানে উপস্থিত হলে, মহাদেব শূলের আঘাতে অন্ধককে হত্যা করেন। এই কারণে ইনি যে সকল নাম প্রাপ্ত হন, তা হলো- অন্ধকান্তক (অন্ধকের অন্তক), অন্ধকরিপু (অন্ধকের রিপু), অন্ধকারি (অন্ধকের অরি), অন্ধকাসুহৃদ (অন্ধকের অসুহৃদ)।
কালিকা পুরাণ মতে- দুন্দুভি নামক জনৈক দৈতরাজ, ব্রহ্মার বরে বলীয়ান হয়ে- দেবতাদের পরাজিত করেছিলেন। কৈলাসে মহাদেব ও পার্বতীকে [দুর্গা] একত্রে ভ্রমণ করার সময় পার্বতীকে দেখে মোহিত হন, এবং তাঁকে অধিকার করার চেষ্টা করলে- মহাদেবের অগ্নিদৃষ্টিতে ইনি ভস্মীভূত করেন। [চতুর্থোহধ্যায়, কালিকাপুরাণ]
পুরাণ মতে- ঘটনাক্রমে দেবর্ষি নারদ শুদ্ধ সংগীত শোনানোর জন্য মহাদেবকে অনুরোধ করলে, মহাদেব জানান যে, প্রকৃষ্ঠ শ্রোতা ছাড়া তিনি গান শোনাবেন না। পরে নারদ মহাদেবের পরামর্শ অনুসারে ব্রহ্মা ও বিষ্ণু-কে অনুরোধ করে আসরে নিয়ে আসেন। এই সঙ্গীতের মর্ম ব্রহ্মা বুঝতে অক্ষম হন। কিন্তু বিষ্ণু কিছুটা বুঝতে পেরেছিলেন। ফলে ইনি আংশিক দ্রবীভূত হন। বিষ্ণুর এই দ্রবীভূত অংশ ব্রহ্মা তাঁর কমণ্ডলুতে ধারণ করেন। বিষ্ণুর এই দ্রবীভূত অংশই গঙ্গা নামে খ্যাত হয়। দেখুন : নারদ, গঙ্গা
পরবর্তী সময়ে সগর রাজার পুত্রদের উদ্ধারের জন্য, ভগীরথ কঠোর তপস্যার দ্বারা ব্রহ্মাকে সন্তুষ্ট করে গঙ্গাকে পৃথিবীতে আনার অনুমতি পান। কিন্তু গঙ্গার অবতরণকালে পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে, -এই আশংকায় গঙ্গা ভগীরথের কাছে একটি অবলম্বন প্রার্থনা করেন। ভগীরথ উপযুক্ত অবলম্বনের জন্য মহাদেবকে তপস্যার দ্বারা সন্তুষ্ট করেন। মহাদেব গঙ্গার স্রোতধারাকে ধারণ করার জন্য তাঁর জটা বিছিয়ে দেন। এরপর গঙ্গা ব্রহ্মার আদেশে মহাদেবের জটা অবলম্বন করে নেমে আসেন। মহাদেব গঙ্গাকে বিন্দু সরোবরে ত্যাগ করলে গঙ্গা- পশ্চিমে হ্লাদিনী, পাবনী, নলিনী- পূর্বে সুচক্ষু, সীতা, সিন্ধু ও ভগীরথের পশ্চাতে এক স্রোত হিসাবে প্রবাহিত হন।
এঁর বরে শক্তিশালী হয়ে বৃত্র, বাণ প্রভৃতি অসুর ক্ষমতাবান হয়ে অত্যাচারী হয়ে উঠলে ইন্দ্র, কৃষ্ণের হাতে এঁরা নিহত হন। পরশুরাম এঁর কাছে অস্ত্র শিক্ষা করে অজেয় হন। তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুনের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে ইনি কিরাত বেশে তাঁর সাথে কৃত্রিম যুদ্ধ করেন। যুদ্ধে অর্জুনের বিক্রম দেখে মহাদেব সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে পাশুপাত অস্ত্র প্রদান করেন।
একবার কৈলাসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রাবণের রথের গতি রুদ্ধ হয়। এই সময় মহাদেবের অনুচর নন্দী রাবণকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, এখানে হর-পার্বতী আছেন। নন্দীর বানর মুখ দেখে রাবণ অবজ্ঞায় হাস্য করলে, নন্দী অভিশাপ দেন যে, তার মতো বানরদের হাতেই রাবণ বংশ ধ্বংস হবে। রাবণ এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে কৈলাস উত্তোলন করতে থাকলে, পার্বতী চঞ্চল হয়ে উঠেন। তখন মহাদেব পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে রাবণকে চেপে ধরেন। রাবণ সে চাপ সহ্য করতে না পেরে প্রচণ্ড চিৎকার করতে থাকেন। পরে মহাদেবের স্তব করে মুক্তি পান। মহাদেব স্তবে সন্তুষ্ট হয়ে রাবণকে চন্দ্রহাস নামে একটি দীপ্ত খড়্গ উপহার দেন।
ইনি মহর্ষি অত্রির কাছে যোগশিক্ষা গ্রহণ করেন। বিষ্ণুর সহায়তায় ইনি জলন্ধরকে হত্যা করেন। তাঁর পরম ভক্ত অসুর বাণকে রক্ষা করা সত্তেও কৃষ্ণের হাতে বাণ পরাজিত হন। কিন্তু কৃষ্ণের দয়ায় বাণ মহাকাল নামে মহাদেবের অনুচরদের অন্তর্ভূক্ত হন।