জ্ঞান
একটি বিষয়ের জানার ক্ষুদ্র অংশ হলো অভিজ্ঞা, একটি বিষয়ের নানা অংশের অভিজ্ঞার সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় জ্ঞান।
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{জ্ঞান |
অভিজ্ঞা |
মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা |
বিমূর্তন |
বিমূর্ত সত্তা |
সত্তা |
}
ইংরেজি:
cognition, knowledge, noesis
ব্যাখ্যা: যেভাবেই যে ধরনের অনুভূতিই উৎপন্ন হোক, তা গ্রহণ করে 'আমি' নামক সত্ত্বা।
এবং সে কিভাবে গ্রহণ করছে, তাই হলো যে কোনো অনুভূতির পরিচয়।
ইন্দ্রিয়সমূহের কাজ হলো−তার আওতাধীন তথ্যাদি তার বিভাগের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ডিভাইসের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
এই ডিভাইসের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে 'আমি' উজ্জীবিত হয়।
এই উজ্জীবনের সূত্রেই 'আমি'র 'উপলব্ধি' নামক অনুভূতির জন্ম নেয়।
এই 'উপলব্ধি' মস্তিষ্কের স্মৃতিভাণ্ডারে সংরক্ষিত হয়।
উপলব্ধির দ্বারা প্রতিটি অনুভূতিকে জানা হয়, আর এই জানাটা স্মৃতিতে রক্ষিত হয়।
এই কারণে উপলব্ধিকে প্রাথমিক জ্ঞান বা অভিজ্ঞা বলা যায়।
আর স্মৃতিতে রক্ষিত উপলব্ধি বা অভিজ্ঞার মিলিত রূপ হলো জ্ঞান। জ্ঞানের উচ্চতর স্তর হলো
প্রজ্ঞা।
(ability, power)
গুণাবলির অধিকার (বিশেষভাবে মানসিক গুণাবলি) অর্জন, যার দ্বারা কিছু করা যায় বা করে কিছু পাওয়া যায়।
জ্ঞান-প্রক্রিয়া
(process, cognitive process,
mental process, operation, cognitive operation)
: জ্ঞানের সমন্বিত চর্চার প্রক্রিয়াগত ধাপ।
প্রজ্ঞা
content, cognitive content, mental object
)
: জ্ঞান আহরণ, গ্রহণ এবং এর ভিতর দিয়ে উৎকৃষ্ট ফলাফল অন্বেষণের প্রচেষ্টা।
জ্ঞানতথ্য
(information)
: জ্ঞানের চর্চা, অভিজ্ঞতা বা নির্দেশনা অনুসারে
অর্জিত তথ্য