কণ্ব
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–
জনৈক ঋষি। তিনি ছিলেন
সর্ব্বলোকপূজিত, ঊর্দ্ধ্বরেতাঃ
এবং ধর্মে অটল।
এঁর আশ্রম ছিল মালনী নদীর নিকটস্থ একটি মনোরম স্থানে। মহাভারতে তাঁর আশ্রমের অপার
সৌন্দর্য্য বর্ণিত হয়েছে। [মহাভারত। আদিপর্ব।
সপ্ততিতম অধ্যায়। কণ্ব মুনির আশ্রমসমৃদ্ধি] ।
রাজা দুষ্মন্তের স্ত্রী
শকুন্তলা
তাঁর পালিতা কন্যা ছিলেন। উল্লেখ্য, শকুন্তলা
বিশ্বামিত্রের
ঔরসে মেনকার গর্ভে ইনি জন্মগ্রহণ করেন।
একাবার
ইন্দ্র
বিশ্বামিত্রের কঠোর তপস্যা ভঙ্গ করার জন্য মেনকা নামক অপ্সরাকে পাঠান।
প্রথমে তেজস্বী বিশ্বামিত্রের কাছে মেনকা যেতে রাজি হন নাই। কিন্তু
ইন্দ্রের
আদেশে তাঁকে শেষ পর্যন্ত বিশ্বামিত্রের কাছে যেতেই হয়। তবে যাবার আগে
মেনকা
ইন্দ্রের
কাছে এরূপ বর প্রার্থনা করেন, যেন
বিশ্বামিত্রের ক্রোধাগ্নি তাকে দগ্ধ
করিতে না পারে। এরপর মেনকার
অনুরোধে তাকে সাহায্য করার জন্য, বায়ু তার সাথে যায়।
মেনকা তপস্যারত বিশ্বামিত্রের সামনে গিয়ে ক্রীড়া-কৌতুক শুরু করে। একসময় বায়ু মেনকার বসন অপহরণ করলে বিশ্বামিত্র তা দেখে মুগ্ধ হন এবং মেনকার সাথে মিলিত হন। কিছুদিন পর মেনকা গর্ভবতী হলে, মেনকা হিমালয়ের পাদদেশে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন এবং সদ্যজাতা কন্যাকে মালিনী নদীর তীরে নিক্ষেপ করিয়া দেবরাজসভায় প্রস্থান করেন। এই সময় কিছু শকুন এই কন্যাকে রক্ষা করে। কণ্ব মুনি শকুন পাখি পরিবেষ্টিত অবস্থায় এই কন্যাকে পেয়ে আশ্রমে নিয়ে আসেন। শকুন্ত পাখি দ্বারা রক্ষিত হয়েছিল বলে কন্যার নাম রাখেন শকুন্তলা।
[মহাভারত। আদিপর্ব। দ্বিসপ্ততিতম অধ্যায়। বিশ্বামিত্রের তপোভঙ্গ। শকুন্তলার জন্মবৃত্তান্ত]