কৃপাচার্য
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে–
ঋষি গৌতমের
শরদ্বান নামক এক শিষ্য ছিল।
ইনি ধনুর্বিদ্যায় অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করলে,
দেবরাজ
ইন্দ্র
ভীত হয়ে–
জানপদী নামক এক অপ্সরাকে প্রেরণ করেন।
এই অপ্সরাকে দেখে শরদ্বানের বীর্যপাত হয় এবং তা একটি শরস্তম্ভে পতিত হয়ে একটি পুত্র
ও কন্যার জন্ম হয়।
রাজা শান্তনু উক্ত পুত্র কন্যাকে কৃপা করে সন্তানের মত পালন করেন বলে,
এই পুত্র-কন্যার নাম যথাক্রমে কৃপ ও
কৃপী
রাখা হয়।
শরদ্বান তপোবলে পরে সমস্ত বিষয় অবগত হয়ে, শান্তনুর দরবারে আসেন এবং কৃপকে
ধনুর্বিদ্যা দান করেন।
পরে ইনি কুরু পাণ্ডবদের অস্ত্রগুরু হিসাবে নিয়োজিত হয়ে–
কৃপাচার্য নামে পরিচিত হন।
কুরুপাণ্ডবের যুদ্ধে ইনি কৌরব পক্ষে যোগদান করেন। অর্জুনএর-পুত্র অভিমন্যুকে অন্যায় যুদ্ধে হত্যার সময় সপ্তরথীর মধ্যে ইনিও ছিলেন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের শেষে যে তিনজন যোদ্ধা জীবিত ছিলেন, ইনি ছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন। রাতের অন্ধকারে অশ্বত্থামা যখন পাণ্ডব শিবিরে ঢুকে হত্যাকাণ্ড চালান, তখন তিনি এবং কৃতবর্মা শিবিরের দ্বার রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। এরপরেও পাণ্ডবরা তাঁকে ক্ষমা করে দেন। পাণ্ডবরা মহাপ্রস্থানে যাবার সময় কৃপাচার্যের হাতে পরীক্ষিতের শিক্ষার ভার দেন। ইনি অত্যন্ত দীর্ঘজীবি ছিলেন। তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না।
সূত্র :
মহাভারত। বেদব্যাস। অনুবাদ : কালীপ্রসন্ন সিংহ