শমীক
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে,
জনৈক ঋষি।
এঁর পুত্রের নাম ছিল
শৃঙ্গী।
তিনি প্রায়ই গভীর বনে ধ্যান করতেন এবং এই সময় তিনি
মৌনব্রত
অবস্থায় থাকতেন।
একবার রাজা
পরীক্ষিৎ মৃগয়ায়
গিয়ে একটি হরিণকে বাণবিদ্ধ করে তার অনুসরণ করতে করতে গভীর বনে প্রবেশ করেন।
এই বনে তখন
শমীক নামক এক
ঋষি মৌনব্রত অবলম্বনে ধ্যানরত ছিলেন।
পরীক্ষিৎ এঁকে
হরিণটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে কোন উত্তর না পেয়ে,
তাঁর গলায় একটি মৃত সাপ ঝুলিয়ে
প্রাসাদে ফিরে আসেন।
তপস্যারত মুনির পুত্র
শৃঙ্গী এই বিষয় অবগত হয়ে অভিশাপ দেন যে, মৃগয়ার সাত দিনের মধ্যে
তক্ষক
নামক নাগের
দংশনে পরীক্ষিৎ মারা যাবেন।
শৃঙ্গী এই অভিশাপের কথা শমীক
ঋষিকে জানালে, শমীক বলেন যে,
এই
অভিশাপ অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে।
কারণ রাজা জানতেন না যে,
তিনি মৌনতা অবলম্বন করে আছেন।
শৃঙ্গী এর উত্তরে জানান যে,
এই অভিশাপ ফিরবে না।
এরপর শমীক নিজ উদ্যোগে
পরীক্ষিৎকে এই বিষয়টি জানান।
তারপরেও
পরীক্ষিৎ
তক্ষক
নামক নাগের দংশনে মৃত্যু বরণ
করেন।
[সূত্র:
মহাভারত। আদিপর্ব। ৪০-৪৪ অধ্যায়]