সুকন্যা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে― রাজা শর্যাতির কন্যা। ঘটনাক্রমে এঁর সাথে চ্যবন ঋষির বিবাহ হয়েছিল। চ্যবন নর্মদা নদীর তীরস্থ বৈদূর্য পর্বতে দীর্ঘকাল তপস্যা করতে করতে বৃদ্ধ হয়ে যান। এই সময় তাঁর দেহ বল্মীকে (উঁই ঢিবি) এবং লতাপাতা দ্বারা আচ্ছাদিত হয়ে পড়ে। একবার রাজা শর্যাতি ও তাঁর চার হাজার স্ত্রী-কন্যাদের নিয়ে এই পর্বতে বিহার করতে আসেন। সুকন্যা চ্যবনের ঢিবির কাছে এলে ইনি ক্ষীণ কণ্ঠে এই কন্যাকে আহ্বান করেন। এই কন্যা ঋষির ডাক পুরোপুরি শুনতে না পেয়েই কৌতুহলবশত ঢিবির কাছে আসেন। ঢিবির মধ্যে ইনি শুধু চ্যবনের উজ্জ্বল চোখ দেখতে পান। কতুহলবশত কাঁটা দিয়ে তা পরীক্ষা করতে গেলে, ঋষির চোখ মারাত্মকভাবে আহত হয়। চ্যবন অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে রাজার সকল সৈন্যদের মলমূত্র ত্যাগ বন্ধ করে দেন। এই কারণে রাজশিবিরে হাহাকার উপস্থিত হলে রাজা শর্যাতি এর কারণ অনুসন্ধান করতে থাকেন। পরে প্রকৃত বিষয় অবগত হয়ে ঋষির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে আসেন। চ্যবন শর্ত দেন যে, যদি সুকন্যার সাথে তাঁর বিবাহ দেওয়া হয় তবেই তিনি ক্ষমা করবেন। রাজা অবশেষে তাতেই রাজি হন।
একবার সুকন্যা নগ্ন হয়ে স্নান করছিলেন। এমন সময় দেব-চিকিৎসক অশ্বিনীকুমারদ্বয় তাঁকে দেখে মুগ্ধ হয়ে সঙ্গম প্রার্থনা করেন। কিন্তু সুকন্যা দেবতাদের জানান যে― তিনি স্বামীর প্রতি অনুরক্তা। এরপর অশ্বিনীকুমারদ্বয় তাঁকে বলেন যে― তাঁরা চ্যবনের যৌবন দান করবেন। কিন্তু চ্যবনের যৌবনপ্রাপ্তির পর সুকন্যাকে তাঁদের মধ্য থেকে যাঁকে নির্বাচন করবেন― তিনিই তাঁর পরবর্তী স্বামী হবেন। সুকন্যা এই কথা চ্যবনকে জানালে চ্যবন তাতেই রাজি হন। এরপর অশ্বিনীকুমারদ্বয় চ্যবনকে নিয়ে নিকটস্থ জলে ডুব দেন এবং তিনজনই অত্যন্ত সুদর্শনরূপে সুকন্যার সামনে উপস্থিত হন। সুকন্যা এর মধ্য থেকে চ্যবনকেই চিনে নেন। চ্যবন সন্তুষ্ট হয়ে অশ্বিনীকুমারদ্বয়কে যজ্ঞে সোমপায়ী করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেন।