যমী
হিন্দু পৌরাণিক সত্তা বিশেষ।
সূর্য-এর ঔরসে
সংজ্ঞা'র
গর্ভে ইনি জন্মগ্রহণ করেন।
সূর্য [দেবতা] সাথে এঁর বিবাহের পর, সংজ্ঞা
সূর্যের অসহ্য তেজ সহ্য করতে না পেরে,
সূর্যকে
দেখলে চোখ নামিয়ে ফেলতেন।
এই জন্য
সূর্য
ক্রুদ্ধ হয়ে অভিশাপ দেন যে,
সংজ্ঞা তাঁর চক্ষু সংযমন করার জন্য প্রজাদের সংযমনকারী
যম-কে প্রসব করবেন।
এরপর এই অভিশাপের সূত্র সংজ্ঞা মৃত্যু দেবতা যমকে প্রসব করেন।
এরপর তিনি অত্যন্ত ভীতা হয়ে চপলভাবে সূর্যের দিকে দৃষ্টিপাত করতে লাগলেন।
তাঁর এই চপল চক্ষু দেখে সূর্য বললেন যে,
তিনি চঞ্চলস্বভাবা একটি নদী প্রসব করার অভিশাপ দেন।
এই অভিশাপের সূত্রে
সংজ্ঞা যমী নামক কন্যার জন্ম দেন।
এই কন্যা
যমুনা নামে প্রবাহিত হয়। এই কারণে
এই নদীটি দেবীর
প্রতীক হিসাবে পূজিতা হয়ে থাকেন।
এই নদীটি উৎপত্তি স্থলের নিকটে যমুনোত্রী নামে একটি উষ্ণ প্রস্রবণ ও একটি হ্রদ আছে।
রামরাবণের যুদ্ধের সময় লঙ্কার সৈন্যরা হনুমানের লজে আগুন লাগিয়ে দিলে,
হনুমান সেই আগুনে লঙ্কা দগ্ধ করে এবং শেষ পর্যন্ত এই হ্রদে এসে তাঁর লেজের আগুন
নিভাতে সক্ষম হয়।
বেদে আছে
যম
তাঁর বোন যমীর সাথে দৈহিক মিলন কামনা করলে যমী তা প্রত্যাখ্যান করেন।