অন্তঃ
বানান বিশ্লেষণ :
অ+ন্+ত্+অ+ঃ।
উচ্চারণ:
ɔn.t̪oʱ
(অন্.তোহ্)।
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত
অন্তঃ>বাংলা
অন্তঃ।
রূপতাত্ত্বিক
বিশ্লেষণ:
√অম্
(গতি) +
অর (অরন্),
ত্ (তুট)
আগম।
পদ :
অব্যয়
অর্থ: এই শব্দটি
পৃথকভাবে কোনো অর্থ প্রকাশ করে না। বিভিন্ন অর্থে অন্য শব্দের পূর্বে বসে বিশিষ্ট
অর্থ প্রদান করে। যেমন−
১. মধ্য বা অভ্যন্তর অর্থে−অন্তর্গত, অন্তর্বর্তী, অন্তর্ভূত।
২. দুই বা বহুর ভিতরে, এই অর্থে−অন্তঃস্থ।
পূর্বপদ হিসেবে যখন এই শব্দ ব্যবহৃত হয়, তখন সন্ধির নিয়মে এই পদের বিসর্গ অপরিবর্তিত অবস্থায় থাকে বা কখনো লোপ পেয়ে রেফ্ হিসেবে পরপদের আদ্য বর্ণে যুক্ত হয়। যেমন−
বিসর্গ
অপরবর্তিত থাকা অবস্থা
পরবর্তী শব্দের শুরুতে যদি ক, প, শ, স থাকে, অন্তঃ শব্দের বিসর্গ পরের শব্দের
আগে বসে।
আদ্য বর্ণ ক = অন্তঃকরণ, অন্তঃকুটিল, অন্তঃকুপিত, অন্তঃকোণ, অন্তক্রুদ্ধ, অন্তঃকেন্দ্র, অন্তঃক্ষেপ
আদ্য বর্ণ প = অন্তঃপট, অন্তঃপাতিত, অন্তঃপাতী, অন্তঃপুর, অন্তঃপুরচারী, অন্তঃপুরিকা, অন্তঃপ্রবেশন, অন্তঃপ্রকোষ্ঠ, অন্তঃপ্রবিষ্ট, অন্তঃপ্রবেশন
আদ্য বর্ণ শ = অন্তঃশত্রু, অন্তঃশীলা, অন্তঃশুষ্ক, অন্তঃশুল্ক, অন্তঃশূন্য, অন্তঃশ্বসন, অন্তঃশ্বাস।আদ্য বর্ণ স = অন্তঃসংজ্ঞা, অন্তঃসত্তা, অন্তঃসত্ত্বা, অন্তঃসলিল, অন্তঃসলিলা, অন্তঃসাগরীয়, অন্তঃসার, অন্তঃস্থ, অন্তঃস্থল, অন্তঃস্থিত, অন্তঃস্বেদ
বিসর্গের বিবর্তিত অবস্থা
পরবর্তী শব্দের শুরুতে যদি গ, জ, দ, ন, ব, ভ, ম, ল, এবং হ থাকে, তা হলে অন্তঃ শব্দের বিসর্গ পরিবর্তিত হয় 'র্'-তে পরিণত হয় এবং তা পরের বর্ণের সাথে রেফ্ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। যেমন−
আদ্য বর্ণ গ = অন্তর্গত, অন্তর্গভ, অন্তর্গূঢ়, অন্তর্গৃহ।
আদ্য বর্ণ জ = অন্তর্জগৎ, অন্তর্জ্জল, অন্তর্জ্যোতিআদ্য বর্ণ দ = অন্তর্দ্দশা, অন্তর্দাহ, অন্তর্দুষ্ট, অন্তর্দৃষ্টি, অন্তর্ধান
আদ্য বর্ণ ন = অন্তর্নিবিষ্ট, অন্তর্নিহিত
আদ্য বর্ণ ব = অন্তর্বণ, অন্তর্বত্নী, অন্তর্বর্তী, অন্তর্বস্ত্র, অন্তর্বাষ্প, অন্তর্বাস, অন্তর্বিপ্লব, অন্তর্বৃত্তি,
আদ্য বর্ণ ভ = অন্তর্ভাব, অন্তর্ভাবিত, অন্তর্ভুক্তি, অন্তর্ভূত, অন্তর্ভেদ, অন্তর্ভেদী, অন্তর্ভৌম
আদ্য বর্ণ ম = অন্তর্মনা, অন্তর্মাতৃকা, অন্তর্মুখ, অন্তর্মৃত, অন্তর্যামিনী, অন্তর্যামী
আদ্য বর্ণ ল = অন্তর্লীন, অন্তর্লোম,
আদ্য বর্ণ ল =অন্তর্হাস, অন্তর্হিত, অন্তর্হৃদয়