উদ্ভিদ দেহে এর কাজ
- অক্সিন প্রধানত উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে
- উদ্ভিদ কোষ বিভাজিত হয়, কোষের আয়তনে বৃদ্ধি পায়, ক্যাম্বিয়ামের সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
- উদ্ভিদের ফটোট্রফিক ও জিওট্রফিক চলন নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। যেমন অক্সিন আলোর উৎসের বিপরীত দিকে বেশি মাত্রায় সঞ্চিত হয়ে ওই অঞ্চলের কোষগুলির দ্রুত বিভাজন ঘটায়, ফলে উদ্ভিদের কাণ্ড আলোর উৎসের দিকে বেঁকে যায় ।
- উদ্ভিদের মূল স্বল্প অক্সিনে বেশি অনুভূতিশীল হওয়ায় আলোর উৎসের দিকের কোষগুলি দ্রুত বিভাজিত হয়, ফলে মূল আলোর উৎসের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায়
- অক্সিন উদ্ভিদের অপরিণত অঙ্গের (পাতা, মুকুল, ফুল, ফল ইত্যাদি) অকাল পতন রোধ করে ।
- লঘু ঘনত্বের অক্সিন উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গের, যেমন মূল, কাণ্ড, পাতা, ফুল, ফল ইত্যাদির পরিস্ফুটন ঘটায় ।
- অক্সিন উদ্ভিদের ফল ও বীজ গঠনেও সাহায্য করে ।
- অক্সিনের প্রভাবে নিষেক ছাড়াই ডিম্বাশয়টি ফলে পরিণত হয়, ফলে বীজহীন ফল সৃষ্টি হয়। অক্সিনের প্রভাবে নিষেক ছাড়াই বীজ বিহীন ফল সৃষ্টি হওয়ায় এই পদ্ধতিকে পার্থেনোকার্পি বলে ।
- উদ্ভিদের লিঙ্গ নির্ধারণে অক্সিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে ।
সার হিসেবে অক্সিনের প্রয়োগ
- বীজহীন ফল (টমেটো, বেগুন, লঙ্কা, লাউ, কুমড়ো, পেঁপে, তরমুজ আঙ্গুর প্রভৃতি) উৎপাদনের জন্য অক্সিন প্রয়োগ করা হয় ।
- শাখা কলমের সাহায্যে বংশ বিস্তারের জন্য নানান ফুল ও ফলের গাছে অক্সিন প্রয়োগ করে দ্রুত সৃষ্টি করা হয় ।
- চাষের খেতে আগাছা দমনের জন্য কৃত্রিম অক্সিন [২,৪-ডি] ব্যবহার করা হয় ।
অক্সিন
২,৪-ডি
২,৪-ডি
[৪]
- পাতা, ফুল ও ফলের মোচন অর্থাৎ ঝরে পড়া রোধ করার জন্য কৃত্রিম অক্সিন প্রয়োগ করা হয় ।
- উদ্ভিদের ডালপালা ছাঁটার পর ওই অঞ্চলের ক্ষতস্থান পূরণের জন্য কৃত্রিম অক্সিন প্রয়োগ করা হয় ।