আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি : bɔ
ইউনিকোড: u+09AC 
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| বর্ণ | বর্ণচিহ্ন | লিখিত প্রতীক | প্রতীক | সঙ্কেতচিহ্ন | যোগাযোগ | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্ত | সত্তা |}
সমার্থকশব্দসমূহ (synonyms):

বর্ণ-পরিচিতি :
এই বর্ণের নাম -বাংলা বর্ণমালার চতুস্ত্রিংশ (৩৪) বর্ণ,  ব্যঞ্জনবর্ণের ২৩ সংখ্যক এবং প বর্গের দ্বিতীয় বর্ণ স্বাধীনভাবে উচ্চারণযোগ্য রূপ হলো- ব্ +অ=ব ওষ্ঠাধর ধ্বনি (bilabial), ঘোষ, অল্পাপ্রাণ ও স্পর্শ বর্ণ

শ্রবণ নমুনা


-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই  ব্রাহ্মীলিপি থেকে ব উদ্ভূত হয়েছে  ব্রাহ্মীলিপিতে দুটো ব ছিল এর একটি বর্গীয়-ব (অবস্থান প ফ ব ভ ম), অপরটি অন্তঃস্থ-ব (অবস্থান য র ল ব) এই দুটি ব-এর উচ্চারণ এবং চিহ্নও পৃথক ছিল বাংলা বর্ণালার আদি সেটগুলোতে এই দুটো ব-ই গৃহীত হয়েছিল আধুনিক বাংলা বর্ণমালায় অন্তঃস্থ ব নেই নিচে উভয় প্রকার ব-এর ক্রমবিবর্তন দেখানো হলো

 

বর্গীয়-ব
প্রাচীন শিলাখণ্ডে খোদিত
 ব্রাহ্মীলিপিতে (খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০-১০০ অব্দ) ব-ছিল-বর্গাকার শেষের দিকে এই চিহ্নটি য-এর মতো হয়ে গিয়েছিল নিচে  ব্রাহ্মীলিপির ক্রমবিবর্তন দেখানো হলো

কুষাণলিপিতে ব-এর  বর্গাকার ও য-এর মতো ব-বর্ণ ছিল।  গুপ্তলিপিতে (৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ)বিভিন্ন লিপিকারদের হাতে এই বর্ণটি বিচিত্র রূপ ধারণ করেছিল নিচের চিত্রে ব্রাহ্মীলিপি থেকে গুপ্তলিপি পর্যন্ত ক-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো

এরপর আমরা পাই খ্রিষ্টীয় ৬ম-৯ম শতাব্দীতে পাই কুটিললিপিআদি কুটিললিপিতে এই বর্ণটি আধুনিক আধুনিক ব এর মতই ছিল। কোনো কোনো নমুনায় এর চেহারা ম-এর মতো দেখায়। খ্রিষ্টীয় ১০শ ও ১১শ শতাব্দীতে এই বর্ণটির চেহারা ধীরে ধীরে আধুনিক ব-এর তো দাঁড়ায়। নিচের চিত্রে কুটিললিপি থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত ব-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো  

 

অন্তঃস্থ-ব
প্রাচীন শিলাখণ্ডে খোদিত
ব্রাহ্মীলিপিতে (খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০-১০০ অব্দ) ব-ছিল একটি উলম্ব রেখাযুক্ত বৃত্ত ব্রাহ্মীলিপির অন্যান্য পাঠে এই বর্ণটি বিভিন্ন আকার নিয়েছিল কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) এই বর্ণের কিছু কিছু ব্রাহ্মী-সংস্করণ গৃহীত হয়েছিল গুপ্তলিপিতে (৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) বিভিন্ন লিপিকারদের হাতে এই বর্ণটি বিচিত্র রূপ ধারণ করেছিল নিচের ছকে ব্রাহ্মীলিপি থেকে গুপ্তলিপি পর্যন্ত অন্তঃস্থ-ব এর রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো

কুটিললিপির (খ্রিষ্টীয় ৬ম-৯ম শতাব্দী) প্রথম থেকেই আধুনিক ব-চিহ্নটির রূপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল পরবর্তীকালে ১২শ ও ১৩শ শতাব্দীতে এর কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় ১৪শ থেকে ১৬শ শতাব্দীর ভিতর এই বর্ণটি ধীরে ধীরে একটি আদর্শ চিহ্নে পরিণত হয় নিচে কুটিললিপি থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত অন্তঃস্থ-ব-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো

 

রূপতাত্ত্বিক উপকরণের বিচারে ব
১. ব। বহন করা অর্থে  বাংলাতে ক্রিয়ামূল হিসেবে বিবেচিত হয়। দেখুন : ব [ক্রিয়ামূল]
২. প্রত্যয় হিসেবে ব ব্যবহৃত হয়।  দেখুন : ব