বাগ্ধারা
বানান বিশ্লেষণ:
ব্+আ+গ্+ধ্+আ+র্+আ।
উচ্চারণ: bag.d̪ʰa.ra
(বাগ্.ধা.রা)
বাগ্.ধা.রা [গ্-যুক্ত বা ধ্বনি একাক্ষর বাগ্ ধ্বনি তৈরিউ করে। অবশিষ্ট ধা এবং রা দুটি একাক্ষর ধ্বনি তৈরি করে।]
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত
वाक्
(বাক্)>বাংলা
বাক্+সংস্কৃত
धारा्
(ধার)।
সন্ধিতে বাক্+ধারা=বাগ্ধারা।
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
|
অভিব্যক্তি
|
ভাবপ্রকাশক শৈলী
|
যোগাযোগ |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
অর্থ: বাংলা ব্যাকরণে ব্যবহৃত পারিভাষিক শব্দ। সমার্থক শব্দাবলি: বাগ্ধারা, বাগ্বিধি, বাগ্ভঙ্গি, বিশিষ্টার্থক শব্দ।
ইংরেজি:
parlance, idiom
বাগধারা (ব্যাকরণ)
ভাষার বাক্য সংগঠনে কিছু
শব্দ বা শব্দগুচ্ছ বিশেষ এমন অর্থ প্রকাশ করে, যা আক্ষরিক অর্থের চেয়ে ভাবগত
বিষয়কেই বিশেষভাবে প্রকাশ করে। বাক্যের এই বিশেষ ভঙ্গি বা ধারাই হলো বাগ্ধারা।
বাগ্ধারা এক ধরনের পদ বা পদগুচ্ছ। কিন্তু ব্যাকরণে পদগুচ্ছ (pharse)
থেকে এর বিশেষ পার্থক্য হলো−
পদগুচ্ছের শব্দসমূহ নিজস্ব আক্ষরিক অর্থ প্রকাশ করে এবং অন্য শব্দের সাথে সম্বন্ধ বজায় রাখে। যেমন− পাখির বাসা, চোখের জল, কাছে থেকে ইত্যাদি। কিন্তু বাগ্ধারা আক্ষরিক অর্থের চেয়েও অন্য অর্থকে প্রকাশ করে। যেমন অগস্ত্য যাত্রা, অকর্মার ধাড়ি, অমাবস্যার চাঁদ।
বাগ্ধারা প্রতিটি ভাষাতে আছে। একটি সুনির্দিষ্ট ভাষাভাষী অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি চর্চা, সামাজিক অভিজ্ঞতা ইত্যাদির ভিতর দিয়ে উপমাতূল্য শব্দ বা শব্দগুচ্ছরূপে বিরাজ করে। মানুষ ওই সকল শব্দ বা শব্দগুচ্ছ্ ভাষার মাধ্যমে ভাবপ্রকাশের সময়, তা ব্যবহার করে। বাগ্ধারা এক বা একাধিক শব্দের সমন্বয়ে তৈরি হতে পারে। যেমন−
একটি শব্দ: অআকখ, অকটকিনা, অকণ্টকে ইত্যদি।
দুটি শব্দ: অগস্ত্য যাত্রা, অকর্মার ধাড়ি, অমাবস্যার চাঁদ ইত্যদি।
তিনটি শব্দ: গভীর জলের মাছ, আঁধার ঘরের মাণিক ইত্যাদি।
চারটি শব্দ: আঙুল ফুলে কলা গাছ, আসতে যেতে গলা কাটা ইত্যাদি।
বাংলা বাগ্ধারার তালিকা
অআকখ অকটকিনা অকটবিকট অকড়িয়া অকণ্টকে অকথ্য-কথন অকর্মার ধাড়ি অকাণ্ড কাণ্ড অকামের গুরুঠাকুর অকালকুষ্মাণ্ড অকালকুসুম ...চলবে |
সূত্র :