ধন
বানান বিশ্লেষণ:
ধ্+অ+ন্+অ।
উচ্চারণ: d̪ʰɔn
(ধন্)
ধন্ [এই শব্দের শেষের ন ধ্বনি রুদ্ধ হয়ে একাক্ষর ধন্ ধ্বনি তৈরি করে।]
শব্দ-উৎস:
সংস্কৃত धन
(ধন)>বাংলা
ধন।
রূপতাত্ত্বিক
বিশ্লেষণ:
√ধন্
(ধান্যোৎপাদন>উৎপাদন) +অ
(অচ্),
করণবাচ্য
পদ:
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {|
অর্থনৈতিক অবস্থা
|
অবস্থা-দশা
|
দশা
|
সত্তাগুণ
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
অর্থ:
যার দ্বারা
বাঁচে এই অর্থে ধান্য (ধান)-কে বিবেচনা করা হতো। কৃষি-নির্ভর ভারতবর্ষে ধান্যকে
এক সময় ধন হিসেবে বিবেচনা করা হতো। বাংলাদেশের গ্রাম্য শোলক ছিল–
'যত ধান, তত ধনী/দাওয়া বসে পয়সা গনি'। কালক্রমে ধন শব্দ–
টাকাকড়ি, অর্থ, সম্পদ ইত্যাদি অর্থ-প্রকাশক শব্দে পরিণত হয়। আবার অন্য শব্দের
সাথে যুক্ত হয়ে সম্পদের সাথে তুলনীয় হয়ে, শব্দ গঠিত হয়।
সমার্থক শব্দাবলি:
অর্থ, টাকা (হাতের ধন বিকিয়ে দিয়ে, এখন করে আর্তনাদ)
সম্পদ (ধনের বড়াই)।
যৌগিক শব্দ:
পূর্বপদ: গুপ্তধন, মূলধন, লুণ্ঠিতধন।
পরপদ: ধনকষ্ট, ধনকাম, ধনগৃধ্নু, ধনকুবের, ধনগর্বী, ধনগর্বিত, ধনগর্বিতা, ধনগৌরব, ধনঘড়া, ধনজন, ধনতৃষা, ধনতৃষ্ণা, ধনজাত, ধনঞ্জয়, ধনদ, ধনদণ্ড, ধনদর্প, ধনদাতা, ধনদাত্রী, ধনদান, ধনদায়িকা, ধনদায়িনী, ধনদাসী, ধনদেব, ধনদেবতা, ধনদেবী, ধননিয়োগ, ধনপতি, ধনপিপাসা, ধনপিশাচ, ধনপূজিত, ধনপ্রাণ, ধনবতী, ধনবত্তা, ধনবন্ত, ধনবান, ধনবিজ্ঞান, ধনবিদ্যা, ধনবিজ্ঞানী, ধন-বিনিয়োগ, ধনবৃদ্ধি, ধনভাণ্ডার, ধন-মদ, ধনমুগ্ধ, ধনলালসা, ধনলিপ্সা, ধনলুব্ধ, ধনশালী, ধনীশালিনী, ধনীশালিতা, ধনশ্রী, ধনহর, ধনহারী, ধনহানি, ধনহীন, ধনহীনা, ধনাকাঙ্ক্ষা, ধনাগম, ধনাগার, ধনাঢ্য, ধনাঢ্যা, ধনাধার, ধনাধিকার,ধনাধিকারিণী, ধনাধিকারী, ধনাধিকৃত, ধনাধিকৃতা, ধনাধিপ, ধনাধিপতি, ধনাপহার, ধনাপহারী, ধনপহারিণী, ধনাধ্যক্ষ, ধনার্চিত, ধনার্জন, ধনার্জিত, ধনার্থী, ধনার্থিনী, ধনেশ্বর, ধনৈষী।
সমার্থক যৌগিক: ধন-দৌলত, ধনসম্পত্তি, ধন-সম্পদ।
অন্য শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে সম্পদের সাথে তুলনীয় হয়ে, শব্দ গঠিত হয়। যেমন: কন্যাধন, কুলধন, গোধন, পুত্রধন, মানধন, সোনাধন (স্নেহার্থে)