ঝ
আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি
:
ɟʰɔ
ইউনিকোড :
u+099D
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
বর্ণ
|
বর্ণচিহ্ন
|
লিখিত প্রতীক
|
প্রতীক
|
সঙ্কেতচিহ্ন
|
যোগাযোগ
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত
সত্তা
|
সত্তা
|}
সমার্থকশব্দসমূহ
(synonyms)
:
ঝ।
এই বর্ণের নাম
-ঝ
।
বাংলা বর্ণমালার
বিংশ (২০)
বর্ণ,
ব্যঞ্জনবর্ণের
নবম
অষ্টম
ও
চ-বর্গের চতুর্থ
বর্ণ।
জ্ ধ্বনির সাথে
সহগ-হ মহাপ্রাণতা প্রদান করলে ঝ ধ্বনির উৎপত্তি হয়।
অ-ধ্বনি যুক্ত হওয়ার পর
এর চিহ্ন দাঁড়ায় ঝ্।
এটি
প্রশস্ত
দন্তমূলীয়
তালব্য
ধ্বনি
(Dorso-Alveolar,
Palatal),
ঘোষ,
মহাপ্রাণ
ও স্পর্শ বর্ণ।
ঝ-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই
ব্রাহ্মীলিপি থেকে ঝ-বর্ণটি উদ্ভূত হয়েছে।
প্রাচীন শিলাখণ্ডে খোদিত
ব্রাহ্মীলিপিতে ঝ-এর যে আকার পাই,তা
ছিল‒ একটি সরল উলম্ব দণ্ড এবং এর ডান পাশের উপরের অংশ থেকে একটি
অনুভূমিক সরলরেখা
ডান দিকে প্রসারিত হয়ে উপরের দিকে উঠে গেছে।
খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দী পর্যন্ত এই ধারটি অব্যাহত ছিল।
খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে এই বর্ণটি কোন কোন লিপিকারের হাতে বাংলা ঠ-বর্ণের
আকার
ধারণ করেছিল।
নিচে খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে প্রথম শতাব্দী পর্যন্ত
ব্রাহ্মীলিপির
ক্রমবিবর্তনের রূপগুলো দেখানো হলো।
কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) ঝ-এর চেহারা অনেকটাই ব্রাহ্মীলিপির ঝ-এর অনুরূপ ছিল। তবে এক্ষেত্রে উলম্বরেখাটি উপরের দিকে প্রসারিত হয়ে একটি সমতায় চলে এসেছিল। তবে উভয় রেখার মাথার দিকে একটু মাত্রার আভাষ ছিল। গুপ্তলিপিতে (৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) এই বর্ণের আকার পরিবর্তিত হয়ে উড়ানি-বিহীন ঠ-এর আকার ধারণ করেছিল। নিচের চিত্রে ব্রাহ্মীলিপি থেকে গুপ্তলিপি পর্যন্ত জ-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো―
খ্রিস্টীয় ৬ম-৯ম শতাব্দীতে কুটিললিপিতে ঝ-এ রূপ ছিল অনেকটা নোঙরের মতো। খ্রিষ্টীয় ১০ম শতাব্দী থেকে ১২শ শতাব্দী পর্যন্ত এই বর্ণটির কোন নমুনা পাওয়া যায় না। ১৩শ শতাব্দীতে এর আকার দাঁড়ায় অনেকটা জ-এর মতো। ১৪শ শতাব্দীতে ঝ-এর রূপটি অনেকটা স্পষ্ট উঠেছিল। তবে এর চূড়ান্ত রূপটি বিকশিত হয়েছিল ১৭শ শতাব্দীর পরে। নিচে কুটিললিপি থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত ঝ-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো।