ন
১.
আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি :
nɔ
ইউনিকোড:
u+09A8
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
বর্ণ
|
বর্ণচিহ্ন |
লিখিত প্রতীক
|
প্রতীক
|
সঙ্কেতচিহ্ন
|
যোগাযোগ |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত
সত্তা
|
সত্তা
|}
সমার্থকশব্দসমূহ
(synonyms):
ন।
এই বর্ণের নাম
-ন
।
বাংলা বর্ণমালার
একত্রিংশ (৩১)
বর্ণ,
ব্যঞ্জনবর্ণের
২০ সংখ্যক
এবং ত বর্গের পঞ্চম
বর্ণ।
স্বাধীনভাবে
উচ্চারণযোগ্য
রূপ হলো- ন্ +অ=ন।
দন্ত্যমূলীয় (Alveolar),
নাসিক্য (Nasal)
ও স্পর্শ বর্ণ।
ন-এর লিপি পরিচিতি
কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) এই ইংরেজি উল্টো ওয়াই-এর বিভিন্ন প্রকরণ সৃষ্টি হয়েছিল মাত্র। গুপ্তলিপিতে (৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) বিভিন্ন লিপিকারদের হাতে নূতন ন-বর্ণটি নূতন রূপ লাভ করেছিল। কুটিললিপি-তে আধুনিক ন-এর মতো ছিল। নিচের চিত্রে ব্রাহ্মীলিপি থেকে গুপ্তলিপি পর্যন্ত ক-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো―
এরপর আমরা পাই খ্রিষ্টীয় ৬ম-৯ম শতাব্দীতে পাই কুটিললিপি। আদি কুটিললিপিতে (খ্রিষ্টীয় ৬ম-৯ম শতাব্দী) ন-বর্ণটির মাত্রা-সংযাগ ততটা গুরুত্ব পায় নি। খ্রিষ্টীয় ১০ম শতাব্দী থেকেই ন পূর্ণতা লাভ করেছিল। নিচে কুটিললিপি থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত ন-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো।
২. বাংলা ব্যাকরণে এই নামে গণ এবং ক্রিয়ামূল
আছে।
দেখুন:
ন গণ ও ক্রিয়ামূল
৩.
অব্যয়
(অনন্বয়ী,
অসম্মতিবাচক)।
অর্থ: ‘না’
বাচক শব্দ।
শব্দ বিবর্তন:
৪. ন হিসেবে তিনটি সংস্কৃত কৃৎপ্রত্যয় আছে। এই প্রত্যয় তিনটি হলো−
১. ন (নক্)
২. ন (নঙ্)
৩. ন (নন্)
তথ্যসূত্র:
১. প্রাচীন ভারতীয় লিপিমালা।গৌরীশঙ্কর ওঝা। অনুবাদ ও সম্পাদনা : মনীন্দ্র
নাথ সমাজদার। বাংলা একাডেমী ঢাকা। আষাঢ় ১৩৯৬, জুন ১৯৮৯।
২. বাঙালা লিপির উৎস ও বিকাশের অজানা ইতিহাস। এস,এম. লুৎফর রহমান। বাংলা
একাডেমী ঢাকা। ফাল্গুন ১৪১১, মার্চ ২০০৫।
৩. বর্ণমালার উদ্ভববিকাশ ও লিপিসভ্যতার ইতিবৃত্ত। দেওয়ান গোলাম মোর্তজা।
বাংলা একাডেমী ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ্য ১৪১০, মে ২০০৩।
৪. সংস্কৃত বর্ণমালার ইতিহাস। রবীন্দ্রনাৎ ঘোষঠাকুর। বাংলা একাডেমী ঢাকা।
কার্তিক ১৩৮৫, নভেম্বরে ১৯৭৮।