ধারণা করা হয়,
হোমো নিয়ানডার্থালেনসিসরা এই অঞ্চলে প্রাথমিক বসতি স্থাপন
করেছিল। পরে
ক্রো-ম্যাগনানরা
এই অঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। এই গুহাবাসী মানুষের পদচারণা মধ্য প্রস্তরযুগ থেকে নব্য
প্রস্তরযুগ পর্যন্ত ছিল। এই গুহা থেকে মধ্যপ্রস্তর যুগে প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য নমুনা
হিসেবে উল্লেখ করা হয়- হাত কুড়াল, বাঁকা ও সোজা স্ক্র্যাপার, বন্য ঘোড়ার উপরের
চোয়ালের টুকরো। এর পরবর্তীয় পর্যায়ে
অরিগ্ন্যাসিয়ান সভ্যতা 'র
ম্যামোথের দাঁতের তৈরি বহু মূর্তি তৈরি হয়েছিল। এর একটি বিরাট অংশই পাওয়া গিয়েছিল
এই গুহায়। এর ভিতরে ছিল ম্যামোথের মূর্তি, ঘোড়ার মূর্তি,
গুহা-সিংহের মূর্তি, শুকর, বাইসন, মৎস, নানা ধরনের অলঙ্কার ও অস্ত্র। ম্যামোথের
দাঁতের তৈরি এ সকল শিল্পকর্ম তৈরি হয়েছিল ৩৫-৩০ হাজার খ্রিষ্টপূর্বাব্দের ভিতরে।
নিচে এর কিছু নমুনা দেওয়া হলো।
ম্যামোথের দাঁতে ঘোড়া এই মূর্তিটির দেহ অত্যন্ত যত্নের সাথে পালিশ করে মসৃণ করা হয়েছিল। |
ম্যামোথের দাঁতে ম্যামোথে এই মূর্তিটির দৈর্ঘ্য ৩.৭ সেন্টিমিটার, উচ্চতা ২.৭ সেন্টিমিটার, পুরুত্ব ১.৪ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৫.৩ গ্রাম। আকারে ছোট হলেও ম্যামোথের অবয়ব বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। |
ম্যামোথের দাঁতে
গুহা সিংহ বর্তমানে গুহাসিংহ একটি বিলুপ্ত প্রজাতি। এর দৈর্ঘ্য ৫৮মিমি, উচ্চতা ২৪মিমি। |
ম্যামোথের দাঁতে
বাইসন বর্তমানে গুহাসিংহ একটি বিলুপ্ত প্রজাতি। এর দৈর্ঘ্য ৭২মিমি, উচ্চতা ৫২.২মিমি। |
|
|
ম্যামোথের দাঁতের অলঙ্কার |
ম্যামোথের দাঁতের চুড়ি |
ম্যামোথের দাঁতের মাছ |
ম্যামোথের দাঁতের বর্শা |