প্রাগৈতিহাসিক ভাষা |
ইন্দো-ইরানিয়ান ভাষা
ধারণা করা হয়,
ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষা পরিবারের সূত্রপাত ঘটেছিল প্রাগ-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা থেকে।
প্রাগ-ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারের একাংশ
খ্রিষ্ট-পূর্ব ৪০০০ বৎরের দিকে উরাল পর্বতের খিরঘিজের স্তেপ অঞ্চলে বসতি স্থাপন
করেছিল। খ্রিষ্ট-পূর্ব ৩৫০০ বৎসরের দিকে এই ভাষা
দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এই ভাগ দুটি হলো‒
প্রাগ-ইন্দো-ইরানিয়ান (ইন্দো-ইরানিয়ান
ভাষা
উপ-পরিবারের
পূর্ব-রূপ)
গ্র্যায়েসো-এরিয়ান
খ্রিষ্ট-পূর্ব ৩৫০০ বৎসর থেকে পরবর্তী ২৫০০ বৎসরের ভিতরে বিবর্তিত ভাষাকে বলা হয় প্রাগ-ইন্দো-ইরানিয়ান ভাষা। প্রাগ-ইন্দো-ইরানিয়ান ভাষাসমূহের ভিতরে ভাষাগত ঐক্য মোটামুটিভাবে খুব কাছাকাছি ছিল। কারণ এই সময়ের ভিতর- এই ভাষার লোকেরা আশ-পাশের অঞ্চলের ভিতর সম্প্রসারিত হলেও দূরবর্তী ভূখণ্ডে ছড়িয়ে পড়ে নি। খ্রিষ্ট-পূর্ব ২৫০০ বৎসরের পরে এরা দূরবর্তী অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এরা মূলত দক্ষিণ-পূর্ব রাশিয়া, কাজাকিস্তান এবং ককেশাস অঞ্চলের দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। এর একটি শাখা ককেশাস পার্বত্য অঞ্চল অতিক্রম করে উত্তর মেসোপটেমিয়া অঞ্চলের দিকে চলে যায়। এর পরবর্তী কয়েক শতাব্দী ধরে এই অঞ্চলে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার বিকাশ ঘটে নিজস্ব ধারায়। এই সময় এই অঞ্চলের আসিরীয় এবং সেমেটিক ভাষাসমূহের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই ভাষাটি একটি স্বতন্ত্র রূপ লাভ করে। এই স্বতন্ত্র ভাষায় ইন্দো-ইউরপৌয় শব্দের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় 'মিতান্নি' শিলালিপিতে।
খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ বৎরের পরে প্রাগ-ইন্দো-ইরানিয়ান ভাষা বিবর্তিত হয়ে যে ভাষায় রূপ নেয়, তাকে ভাষাবিজ্ঞানীরা ইন্দো-ইরানিয়ান ভাষা হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। এই সময় মধ্য-এশিয়ার পশ্চিম-পূর্ব বরাবর উরাল নদী থেকে তিয়েন শান পর্যন্ত এরা বসতি স্থাপন করেছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ অব্দের ভিতরে এই ভাষা উপ-পরিবারে মানুষ তিনটি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছিল। এই অঞ্চল তিনটি হলো‒
ভাষাবিজ্ঞানীরা ইন্দো-ইরানিয়ান ভাষা উপ-পরিবারকে মোট তিনটি ভাগে ভাগ করেছে। এই ভাগ তিনটি হলো‒
সূত্র :
ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত। ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
সাধারণ ভাষা বিজ্ঞান ও বাংলা ভাষা। ডঃ রামেশ্বর শ।
http://en.wikipedia.org/wiki/Indo-Aryan_languages
http://www.ethnologue.com/subgroups/indo-aryan