অধিবর্ষ
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা   {| বৎসর | পর্যায় কাল |মৌলিক পরিমাপ | পরিমা | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্ত | সত্তা |}
ইংরেজি : leap year

সাধারণভাবে পৃথিবীতে সৌর বৎসর গণনা করা ৩৬৫ পার্থিব দিনে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সূর্যকে আবর্তন করতে পৃথিবীর মোট সময় লাগে ৩৬৫.২৪২ পার্থিব দিন। সাধারণভাবে এই সময় গণনা করা হয় ৩৬৫.২৫ পার্থিব দিন। এই অতিরিক্ত সময় (.২৫ সৌরদিন) চার বৎসর পর ১ পার্থিব দিনের সমান হয়। চার বৎসরে পাওয়া এই বাড়তি ১ দিন বৎসরে সাথে যুক্ত করে দেওয়া হয়। ফলে ওই বৎসরে পার্থিব দিনের সংখ্য দাঁড়ায় ৩৬৬ পার্থিব দিন। এই বাড়তি দিন যুক্ত করে ৩৬৬ দিনে যে বৎসর গণনা করা হয়, তাকে বলা হয় অধিবর্ষ।

যে সমস্ত বৎসরকে ৪ সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে কোনো ভাগশেষ থাকে না, সে সকল বৎসরে
সাথে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত খ্রিষ্টাব্দের সাথে এই বাড়তি দিন যুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল খ্রিষ্ট-পূর্ব ৪৫ অব্দে (জুলিয়ান পঞ্জিকা চালু হওয়ার সময়)। সাধারণ বৎসরগুলোতে ফেব্রুয়ারি মাস গণনা করা হয় ২৮ দিনে। কিন্তু অধিবর্ষে ফেব্রুয়ারি মাস ২৯ দিনে।

১৫৪২ খ্রিষ্টাব্দে
গ্রেগোরিয়ান পঞ্জিকা প্রবর্তিত হলে- অধিবর্ষের নিয়মে কিছু পরিবর্তন আনা হয়। যেহেতু ৩৬৫.২৪২ পার্থিব দিনের বৎসরকে ৩৬৫.২৫ পার্থিব দিন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই প্রতি বৎসরই হিসাবে কিছুটা বাড়তি থেকে যায়। এই কারণে প্রতি শতাব্দীতে একটি দিন বাদ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে যে সকল বৎসরকে ৪০০ দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল থাকে না, সে সকল বৎসরের ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিন গণনা করা হয়। অর্থাৎ ওই বৎসরকে অধিবর্ষ বলা হয় না।


সূত্র :
বাংলা বিশ্বকোষ। তৃতীয় খণ্ড। নওরোজ কিতাবিস্তান। জুলাই ১৯৭৩