শীতলী প্রাণায়াম
যোগশাস্ত্রে বর্ণিত একটি প্রাণায়াম বিশেষ। এই প্রাণায়াম দ্বারা শরীর শীতল করা হয় বলে, এর এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। এই প্রাণায়ামের একাধিক পদ্ধতি  আছে। নিচে এর সহজ পদ্ধতিটি সম্পর্কে  আলোচনা করা হলো।

সহজ পদ্ধতি
১. প্রথমে
পদ্মাসনে বসুন।
২. এবার পুরো শরীরকে শিথিল করে দিন।
৩. ঈষৎ মুখ খুলে ধীরে ধীরে শ্বাস গ্রহণ করুন এবং শ্বাস ত্যাগ করতে থাকুন। শ্বাস গ্রহণকালে তালু ও জিহ্বার মধ্যবর্তী স্থানে বাতাস  আসার কারণে, সা সা ধ্বনির সৃষ্টি হবে। কিন্তু শ্বাস ত্যাগের সময়, কণ্ঠে চাপ প্রয়োগের কারণে হা জাতীয় শব্দ উৎপন্ন হবে। কাশি থাকলে, হা ধ্বনির সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না। তবে কণ্ঠ দিয়ে ঘড় ঘড় শব্দ তৈরি করবেন না।
৪. শরীর শিথিল করে, শ্বাস-প্রশ্বাসের এই প্রয়োগ করার সময় চক্ষু বন্ধ রাখবেন। এবং  আপনার শরীর থেকে সমস্ত উষ্ণতা মুখ দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছে তার অনুভব মনের ভিতর জাগ্রত করতে হবে। এই অবস্থায় ১০ সেকেণ্ড থাকুন।
৫. কিছুক্ষণ পর  আপনি মুখ বন্ধ করে, নাক দিয়ে শ্বাস প্রশ্বাস চালাতে থাকুন। এই অবস্থায় ১০ সেকেণ্ড অবস্থান করুন।
৬. এরপর প্রাণায়াম ত্যাগ করে, আসন ত্যাগ করুন। এরপর ২০ সেকেণ্ড
শবাসনে বিশ্রাম নিন।

বিশেষ সতর্কতা
১. হার্ট ব্লক-জনিত অসুখে এই প্রাণায়াম করবেন না।
২. শীতকালে পাতলা কাপড় দিয়ে নাকমুখ ঢেকে নিতে হবে।
৩. বাতাসে অধিক ধুলাবালি রয়েছে, এমন স্থানে এই প্রাণায়াম করবেন না।

উপকারিতা
১. শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়।
২. মানসিক উত্কণ্ঠা ও চঞ্চলতা প্রশমিত হয়।
৩. উচ্চ রক্তচাপ কমে যায়।
৪. লিভার অধিক সক্রিয় হয়। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৫. তাত্ক্ষণিকভাবে ধূমপানে  আসক্তি কমে যায়।
৬. মুখের গন্ধ কমে যায়।


সূত্র :
যোগাসনে রোগ আরোগ্য
। ডঃ রমেন মজুমদার
রোগারোগ্যে যোগব্যায়াম। কানাইলাল সাহা
যোগ সন্দর্শন। ডাঃ দিব্যসুন্দর দাস
যোগ ব্যায়াম। সবিতা মল্লিক