রোডোফাইটা
Rhodophyta
আর্কিপ্লাস্টিডা
থাকের অন্তর্গত একটি
পর্ব।
এই পর্বের শৈবালের সাধারণ নাম লোহিত শৈবাল।
প্রাচীন
গ্রিক ῥόδον (rhodon),
-এর অর্থ গোলাপ এবং
φυτόν (phyton)
শব্দের অর্থ উদ্ভিদ। এই দুটি শব্দের সমন্বয়ে এর নামকরণ করা হয়েছে
Rhodophyta
।
এই নামকরণ করেছিলেন জার্মান উদ্ভিদবিজ্ঞানী
Friedrich Wettstein
।
১৮৩৬ সালে
Friedrich Ruprecht
প্রস্তাব করেন।
১৯০১ খ্রিষ্টাব্দে
Wettstein “Rhodophyta” হিসেবে
Division
নাম দেন। ২০২৫ সালের সর্বাধুনিক তথ্য অনুযায়ী,
একে পর্ব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই
প র্বের
বিভাগের শৈবালগুলোকে মেরু অঞ্চলের শীতল জলভূমি ছাড়া ও অ্যান্টার্কটিকার উপকূলে
এদের প্রচুর পাওয়া যায়।
সকল সাগরেই দেখা যায়। এই
বিভাগের প্রজাতি সংখ্যা প্রায় ৭৫০০ -
৮৩০০ । এদের ভিতরে প্রায় ২০০ -২৫০ প্রজাতি স্বাদু পানিতে
বাস করে। স্বাদু পানির শৈবালগুলোতে নীলচে ভাব থাকায়, এদেরকে অনেক সময় নীলাভ-সবুজ
শৈবাল বলে মনে হয়। এদেরকে
সাধারণভাবে অনেক সময় সামুদ্রিক আগাছাও বলা হয়।
এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার উষ্ণ জলে এদের
প্রচুর দেখা যায়।
এই শৈবালে আর-ফাইকোইরিথিন, আর-ফাইকোসায়নিন, ক্লোরোফিল এ, জ্যান্থোফিল ও ক্যারোটিন
থাকার কারণে লালচে-বেগুনি বর্ণের দেখায়। অবশ্য জলের গভীরতা ও আলোর তীব্রতা অনুযায়ী ফাইকোবিলিপ্রোটিনের পরিমাণের তারতম্যে রঙের বৈচিত্র্য (লাল, গোলাপি, বাদামি বা সবুজাভ) দেখা যায়।
প্রজাতিভেদে এদের আকৃতি এককোষী থেকে জটিল বহুকোষী শাখা-প্রশাখাযুক্ত হতে পারে। প্লাস্টিড (রোডোপ্লাস্ট) সাধারণত তারা-আকৃতির বা প্লেটের মতো, থাইলাকয়েডগুলো এককভাবে থাকে (গ্রানা গঠন করে না)।
এদের
কোষে কোনো ফ্লাজেলা থাকে না। এছাড়া ক্লোরোপ্লাস্ট, সেন্ট্রোওল-ও দেখা যায় না।
প্রজননের ক্ষেত্রে
প্রজাতিভেদ এদের ভিতরে অঙ্গজ জনন, অযৌন জনন বা যৌন জনন দেখা যায়।
রোডোফাইটার ক্রমবিকাশ: ১৫৫-১৫০ কোটি খ্রিষ্টপূর্বাব্দে আবির্ভুত
আর্কিপ্লাস্টিডা থেকে পরবর্তী সময়ে উদ্ভব
হয়েছিল নানা ধরনের শৈবাল এবং স্থলজ উদ্ভিদ। বিজ্ঞানীরা এই থাককে
৩টি থাকে ভাগ
করেছেন। এই থাকগুলো হলো-
রোডোফাইটা: প্রায় সবই সামুদ্রিক লাল শৈবাল (নরি, আগার, করালাইন শৈবাল) , কিছু মিঠা পানির
গ্লায়ুকোফাইটা: মাত্র ১৫–২০ প্রজাতি, মিঠা পানির অতিক্ষুদ্র এককোষী শৈবাল (সায়ানেলা আছে)
ভিরিডিপ্ল্যান্ট: সবুজ শৈবাল (ক্লোরোফাইটা), স্ট্রেপ্টোফাইটা (চারা-জাতীয়), সব স্থলচর উদ্ভিদ)
সূত্র: