হ্যালোজেন (রসায়ন বিজ্ঞান)
*হ্যালোজেন  (শব্দাভিধান)

পর্যায় সারণীর VIIA -এর অন্তর্ভুক্ত ফ্লোরিন, ক্লোরিন, ব্রোমিন, আয়োডিন এবং এ্যাস্টেটিনকে সাধারণভাবে হালোজেন বলা হয়। এদের সাধারণ প্রতীক হিসেবে X2 সঙ্কেত দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এদের সবগুলোই দ্বিপরমাণুক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সে কারণে পারমাণবিক সঙ্কেত লেখা হয় ফ্লোরিন F2, ক্লোরিন Cl2, ব্রোমিন, Br2, আয়োডিন I2 এবং এ্যাস্টেটিন At2 । এছাড়া কৃ্ত্রিমভাবে উৎপন্ন উনুনসেপ্টিয়াম (Ununseptium) -কে হ্যালোজেন হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। এই মৌলগুলোর ভিতর এ্যাস্টেটিন ক্ষণস্থায়ী এবং  তেজস্ক্রিয়। এই পরিবারের এ্যাস্টেটিন ছাড়া অন্য সকল মৌলগুলো ভূত্বকে ও বায়ুমণ্ডলে পাওয়া যায়।

 ১৮৪২ খ্রিষ্টাব্দে সুইডিশ বিজ্ঞানী জন জ্যাকব বার্জেলিয়াস (
Jöns Jakob Berzelius) লক্ষ্য করেন যে,
ফ্লোরিন, ক্লোরিন, ব্রোমিন, আয়োডিন ধাতুর সাথে রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে সামুদ্রিক লবণ তৈরি করে। এই বিশেষ গুণের কারণে এদেরকে একত্রের নাম দেন Halogen। উল্লেখ্য Halogen শব্দটি গ্রিক ভাষায়  ἅλς (háls), "লবণ বা সাগর" এবং γεν- (gen-), "ৎপন্ন করা"। অবশ্য এর আগে ১৮১১ খ্রিষ্টাব্দে জার্মান বিজ্ঞানী আই. সয়েইগার ক্লোরিন গ্যাসকে হ্যালজেন নামকরণ করেছিলেন। কিন্তু সে সময়ে নামটি গৃহীত হয় নি। প্রায় ১০০ বছর হ্যালোজেনের তালিকায় ছিল উল্লিখিত চারটি মৌলিক পদার্থ। ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে উচ্চ শক্তি সম্পন্ন আলফা কণা দ্বারা বিসমাথে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এ্যাস্টেটিন তৈরি করা হয়। এরপর এর গুণাগুণ পরীক্ষা করে এ্যাস্টেটিন-কে হ্যালোজেনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।